পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రి$8 গল্পগুচ্ছ অশ্বিকাচরণ মাঝে মাঝে ইহা লইয়া বিপদে পড়িতেন। কারণ, জমিদারের অংশ জমিদারকে দিয়া, তহবিলে প্রায় আমনিতি সদর-খাজনা, অথবা আমলাবগের বেতন প্রভৃতি খরচের টাকা জমা থাকিত। সে টাকা অন্যায় ব্যয় হইয়া গেলে বড়োই অসুবিধা ভোগ করিতে হইত। কিন্তু বিনোদ টাকাটি লইয়া এমনি চোরের মতো লুকাইয়া বেড়াইত যে, তাহাকে এ সম্পবন্ধে কোনো কথা বলিবার অবসর পাওয়া যাইত না; পত্র লিখিলেও কোনো ফল হইত না— কারণ, লোকটর কেবল চক্ষলজা ছিল, আর কোনো লজ্জা ছিল না, এইজন্য সে কেবল সাক্ষাৎকারকে ডরাইত । ক্লমে যখন বিনোদ বাড়াবাড়ি করিতে লাগিল তখন অবিকাচরণ বিরক্ত হইয়া লোহার সিন্ধকের চাবি নিজের কাছে রাখিলেন। বিনোদের গোপনে টাকা লওয়া একেবারে বন্ধ হইল। অথচ লোকটা এতই দাবলপ্রকৃতি যে, প্রভু হইয়াও স্পষ্ট করিয়া এ সম্বন্ধে কোনোপ্রকার বল খাটাইতে পারিল না। অম্বিকাচরণের ব্যথা চেস্টা । অলক্ষয়ী যাহার সহায় লোহার সিন্ধকের চাবি তাহার টাকা আটক করিয়া রাখিতে পারে না। বরং হিতে বিপরীত হইল। কিন্তু সে-সকল কথা পরে হইবে। অবিকাচরণের কড়া নিয়মে বিনোদ ভিতরে ভিতরে অত্যন্ত উত্ত্যন্ত হইয়াছিল। এমন সময় নয়নতারা যখন তাহার মনে সন্দেহ জন্মাইয়া দিল তখন সে কিছল খুশি হইল। গোপনে একে একে নিম্নতন কমচারীদিগকে ডাকিয়া সম্প্রধান লইতে লাগিল । তখন বামাচরণ তাহার প্রধান চর হইয়া উঠিল । গৌরীকান্তের আমলে দেওয়ানজি বলপবেক পশববতী জমিদারের জমিতে হস্তক্ষেপ করিতে কুষ্ঠিত হইতেন না। এমন করিয়া তিনি অনেকের অনেক জমি অপহরণ করিয়াছেন। কিন্তু অম্বিকাচরণ কখনও সে কাজে প্রবত্ত হইতেন না। এবং মকদমা বাধিবার উপক্রম হইলে তিনি যথাসাধ্য আপসের চেস্টা করিতেন। বামাচরণ ইহারই প্রতি প্রভুর দষ্টি আকর্ষণ করিল। স্পষ্ট বুঝাইয়া দিল, অশ্বিকাচরণ নিশ্চয় অপর পক্ষ হইতে ঘষে লইয়া মনিবের ক্ষতি করিয়া আপস করিয়াছে। বামাচরণের নিজেরও বিশ্বাস তাহাই—যাহার হাতে ক্ষমতা আছে সে যে ঘষে না লইয়া থাকিতে পারে ইহা সে মরিয়া গেলেও বিশ্বাস করিতে পারে না । এইরপে গোপনে নানা মুখ হইতে ফাংকার পাইয়া বিনোদের সন্দেহশিখা ক্রমেই বাড়িয়া উঠিতে লাগিল—কিন্তু সে প্রত্যক্ষভাবে কেনো উপায় অবলম্বন করিতেই সাহস করিল না। এক চক্ষালজা; দ্বিতীয়ত আশঙ্কা, পাছে সমস্ত-অবস্থাভিজ্ঞ অবিকাচরণ তাহার কোনো অনিষ্ট করে। অবশেষে নয়নতারা স্বামীর এই কাপর্ষতায় জনলিয়া পডিয়া বিনোদের অজ্ঞাতসারে একদিন অবিকাচরণকে ডাকিয়া পদার অ্যডাল হইতে বলিলেন, “তোমাকে আর রাখা হবে না, তুমি বামাচরণকে সমস্ত হিসেব বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাও।” তাঁহার সম্বন্ধে বিনোদের নিকট আন্দোলন উপস্থিত হইষাছে সে কথা অবিকা পবেই আভাসে জানিতে পারিয়াছিলেন সেজন্য নয়নতারার কথায় তিনি তেমন আশ্চয* হন নাই: তৎক্ষণাং বিনোদবিহারীর নিকট গিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমাকে কি আপনি কাজ থেকে নিকতি দিতে চান।” विटनाम भगवाञ्ठ श्दैग्ना काँश्ठा, “ना. कथन है ना।” অশ্বিকাচরণ পনবার জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার উপর কি আপনার কোনো