পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ひミや গল্পগুচ্ছ যাহা-কিছু বতমান, যাহা-কিছ আমার চারি দিকে চলিতেছে ফিরিতেছে খাটিতেছে খাইতেছে সমস্তই আমার কাছে অত্যন্ত দীন অর্থহীন অকিঞ্চিৎকর বলিয়া বোধ হইল । আমি কলম ছাড়িয়া ফেলিয়া, বহৎ খাতা বন্ধ করিয়া তৎক্ষণাৎ টমটম চড়িয়া ছটিলাম। দেখিলাম, টমটম ঠিক গোধলিম হতে আপনিই সেই পাষাণ-প্রাসাদের বারের কাছে গিয়া থামিল। দ্রতপদে সিড়িগুলি উত্তীণ হইয়া ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলাম। আজ সমস্ত নিস্তব্ধ। অন্ধকার ঘরগুলি যেন রাগ করিয়া মুখ ভার করিয়া আছে। অনন্তাপে আমার হদয় উদবেলিত হইয়া উঠিতে লাগিল কিন্তু কাহাকে জানাইব, কাহার নিকট মাজনা চাহিব, খ:জিয়া পাইলাম না। আমি শান্যমনে অন্ধকার ঘরে ঘরে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিলাম। ইচ্ছা করিতে লাগিল একখানা যন্ত হাতে লইয়া কাহাকেও উদ্দেশ করিয়া গান গাহি : বলি, হে বহ্নি, যে পতঙ্গ তোমাকে ফেলিয়া পলাইবার চেষ্টা করিয়াছিল, সে আবার মরিবার জন্য আসিযাছে। এবার তাহাকে মাজনা করো, তাহার দুই পক্ষ দগধ কবিয়া দাও, ভস্মসাৎ করিয়া ফেলো। হঠাৎ উপর হইতে আমার কপালে দুই ফোঁট আশ্রজেল পড়িল। সেদিন অরালী পবতের চড়ায় ঘনঘোর মেঘ করিয়া আসিয়াছিল। অন্ধকার অরণ্য এবং শস্তোর মসাবণ জল একটি ভীষণ প্রতীক্ষায় সিথর হইয়া ছিল । জল পথল আকাশ সহসা শিহরিয়া উঠিল; এবং অকস্মাৎ একটা বিদ্যন্দন্তবিকশিত ঝড় শsেখলছিল্ল উন্মাপের মতো পথহীন সদেব বনের ভিতর দিয আত চীৎকল করিতে কবিতে ছটিয়া আসিল। প্রাসাদের বড়ো বড়ো শান্য ঘরগালা সমসত বর আছড়াইয় তাঁর বেদনায় হহে কবিয়া কাঁদিতে লাগিল। আজ ভৃতাগণ সকলেই আপিসঘরে ছিল, এখানে আলো জালাইবার কেহ ছিল না। সেই মেঘাচ্ছন্ন অমাবস্যার রাত্রে গাহের ভিতরকার নিকষকৃষ্ণ অন্ধকারের মধ্যে আমি স্পষ্ট অনুভব করিতে লাগিলাম— একজন রমণী পালসেকর তলদেশে গলিচার উপরে উপড়ে হইয়া পড়িয়া দুই দঢ়বদ্ধমষ্টিতে আপনার আল্লাসিত কেশজাল টানিয়া ছি’ডিতেছে, তাহার গৌরবণ ললাট দিয়া রত্ব মাটিয়া পড়িতেছে, কখনও সে শকে তাঁর অট্টহাস্যে হা-হা করিয়া হাসিয়া উঠিতেছে, কখনও ফলিয়া-ফলিয়া BBBBSuB BBBBBS BB BBBB BBB Bu uB Bu DDBBB BB আঘাত করিতেছে, মুক্ত বাতাযন দিযা বাতাস গজন করিয়া আসিতেছে এবং মনুষলধারে বষ্টি আসিয়া তাহার সবর্ণগুগ অভিষিক্ত কবিয়া দিতেছে । সমস্ত রাত্রি ঝডও থামে না, কন্দনও থামে না । আমি নিষ্ফল পরিতাপে ঘরে ঘরে BBBB BBBB BBBB DDBBS BB BBBBG uBBS BBBB BBBB BBBS এই প্রচণ্ড অভিমান কাহার। এই অশান্ত আক্ষেপ কোথা হইতে উত্থিত হইতেছে। পাগল চীৎকার করিয়া উঠিল, “তফাত যাও তফাত সাও সল ঝ:ট হ্যায়, সব ঝtট হ্যায়।” দেখিলাম, ভোর হইয়াছে এবং মেহের অলি এই ঘোর দ্যযোগের দিনেও যথানিয়মে প্রাসাদ প্রদক্ষিণ করিয়া তাহার অভ্যস্ত চীৎকার করিতেছে। হঠাৎ আমার মনে হইল, হয়তো ওই মেহের আলিও আমার মতো এক সময় এই প্রাসাদে বাস করিয়াছিল,