পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उष्ठिथि। ෆථ6: বারা বন্ধ ছিল না, অথচ সকল অবস্থা, সকল কাজের প্রতিই তাহার একপ্রকার সহজ প্রবণতা ছিল। বালকের কাছে সে সম্পণে স্বাভাবিক বালক অথচ তাহাদের হইতে শ্রেষ্ঠ ও স্বতন্ত্র, বন্ধের কাছে সে বালক নহে অথচ জ্যাঠাও নহে, রাখালের সঙ্গে সে রাখাল অথচ ব্লাহরণ। সকলের সকল কাজেই সে চিরকালের সহযোগীর ন্যায় অভ্যস্তভাবে হস্তক্ষেপ করে; ময়রার দোকানে গল্প করিতে করিতে ময়রা বলে, "দাদাঠাকুর, একট বসো তো ভাই, আমি আসছি”—তারাপদ অম্বলনবদনে দোকানে বসিয়া একখানা শালপাতা লইয়া সন্দেশের মাছি তাড়াইতে প্রবাত্ত হয়। ভিয়ান করিতেও সে মজবুত, তাঁতের রহস্যও তাহার কিছু কিছ জানা আছে, কুমারের চক্লচালনও তাহার সম্পণে অজ্ঞাত নহে। তারাপদ সমস্ত গ্রামটি আয়ত্ত করিয়া লইল, কেবল গ্রামবাসিনী একটি বালিকার ঈষা সে এখনও জয় করিতে পারিল না। এই বালিকাটি তারাপদর সদরে নিবাসন তীব্রভাবে কামনা করিতেছে জানিয়াই বোধ করি তারাপদ এই গ্রামে এতদিন আবদ্ধ হইয়া রহিল। কিন্তু বালিকাবস্থাতেও নারীদের অন্তররহস্য ভেদ করা সুকঠিন, চার শশী তাহার প্রমাণ দিল । বামনঠাকরুনের মেয়ে সোনামণি পাঁচ বছর বয়সে বিধবা হয় ; সেই চারীর সমবয়সী সখী । তাহার শরীর অসুস্থ থাকাতে গহপ্রত্যাগত সখীর সহিত সে কিছুদিন সাক্ষাং করিতে পারে নাই। সন্থে হইয়া যেদিন দেখা করিতে আসিল সেদিন প্রায় বিনা কারণেই দুই সখীর মধ্যে একটু মনোবিচ্ছেদ ঘটিবার উপক্ৰম হইল । চার অত্যন্ত ফাঁদিয়া গল্প আরম্ভ করিয়াছিল। সে ভাবিয়াছিল তারাপদ-নামক তাহদের নবাঞ্জি"ত পরমরত্নটির আহরণকাহিনী সবিস্তারে বর্ণনা করিয়া সে তাহার সখীর কৌতুহল এবং বিস্ময় সপ্তমে চড়াইয়া দিবে। কিন্তু যখন সে শনিল, তারাপদ সোনামণির নিকট কিছুমাত্র অপরিচিত নহে, বামনঠাকরনকে সে মাসি বলে এবং সোনামণি তাহাকে দাদা বলিয়া ডাকে, যখন শুনিল, তারাপদ কেবল যে বাঁশিতে কাঁতানের সরে বাজাইয়া মাতা ও কন্যার মনোরঞ্জন করিয়াছে তাহা নহে, সোনামণির অনুরোধে তাহাকে স্বহঙ্গেত একটি বাঁশের বাঁশি বানাইয়া দিয়াছে, তাহাকে কতদিন উচ্চশাখা হইতে ফল ও কণ্টক-শাখা হইতে ফল পাড়িয়া দিয়াছে, তখন চারীর অন্তঃকরণে যেন তপ্তশেল বিধিতে লাগিল। চার জ্ঞানিত, তারাপদ বিশেষরপে তাহদেরই তারাপদ– অত্যন্ত গোপনে সংরক্ষণীয়, ইতরসাধারণে তাহার একট-আধট সাভাসমান্ত পাইবে অথচ কোনোমতে নাগাল পাইবে না, দার হইতে তাহার রাপে গঙ্গে মন্ধে হইবে এবং চার শশীদের ধন্যবাদ দিতে থাকিবে । এই আশ্চৰ্য দলভ দৈবলৰ রাহমুণবালকটি সোনামণির কাছে কেন সহজগম্য হইল । আমরা যদি এত যত্ন করিয়া না আনিতাম, এত যত্ন করিয়া না রাখিতাম, তাহা হইলে সোনামণিরা তাহার দশন পাইত কোথা হইতে। সোনামণির দাদা : শনিয়া সৰশরীর জনলিয়া যায়। যে তারাপদকে চার মনে মনে বিবেষশরে জঞ্জর করিতে চেষ্টা করিয়াছে, তাহারই একাধিকার লইয়া এমন প্রবল উদ্বেগ কেন – বকিবে কাহার সাধ্য। नईभिनई जनग्न ७कन्नै छूह नष्ठ cनानार्भाणब्र अशिङ छात्रञ्च भय“ब्उिक आफ़ि ং ইয়া গেল। এবং সে তারাপদর ঘরে গিয়া তাহার শখের বাঁশিটি বাহির করিয়া তাহার