পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দয়াশা ළුද්ද দেখিলাম, তাঁথমন্দিরে সন্ধ্যারতিকালে তপস্বিনীর ভক্তিগদগদ একাগ্র মতি দেখিলাম, তাহার পরে এই দাজিলিঙে ক্যালকাটা রোডের প্রান্তে প্রবীণার কুহেলিকাচ্ছন্ন ভন্নহৃদয়ভারকাতর নৈরাশ্যমতিও দেখিলাম—একটি স্কুমার রমণীদেহে ব্ৰাহরণ- , মসলমানের রক্ততরঙ্গের বিপরীত সংঘর্ষজনিত বিচিত্র ব্যাকুল সংগীতধৰনি সন্দের সসম্পণে উদীভাষায় বিগলিত হইয়া আমার মস্তিকের মধ্যে পন্দিত হইতে লাগিল। চক্ষ খলিয়া দেখিলাম, হঠাৎ মেঘ কাটিয়া গিয়া সিনপদ্ধ রৌদ্রে নিম’ল আকাশ ঝলমল করিতেছে, ঠেলাগাড়িতে ইংরাজ রমণী ও অশবপঠে ইংরাজ পরষগণ বায়সেবনে বাহির হইয়াছে, মধ্যে মধ্যে দই-একটি বাঙালির গলাবন্ধবিজড়িত মুখমণ্ডল হইতে আমার প্রতি সকৌতুক কটাক্ষ বষিত হইতেছে। দ্রুত উঠিয়া পড়িলাম, এই সবোলোকিত অনাবত জগৎদশ্যের মধ্যে সেই মেঘাচ্ছন্ন কাহিনীকে আর সত্য বলিয়া মনে হইল না। আমার বিশ্বাস আমি পবতের কুয়াশার সহিত আমার সিগারেটের ধাম ভূরিপরিমাণে মিশ্রিত করিয়া একটি কল্পনাখণ্ড রচনা করিয়াছিলাম— সেই মসলমানব্রাহরণী, সেই বিপ্রবীর, সেই যমনাতীরের কেল্লা কিছুই হয়তো সত্য নহে । বৈশাখ ১৩o৫