পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক එදා 6% বিন্যস্ত বাম বাহন, সেই উৎক্ষিপ্ত বঙ্কিম কণ্ঠরেখার দিকে নিরতিশয় নিস্তব্ধ একাগ্রতার সহিত নীরবে চাহিয়া আছে। যতক্ষণ দেখা যায় দেখিলাম, দুই সজলপল্লব নেত্রপাতের বারা দুইখানি চরণপদ্ম वाद्भभ्याब्र निछिग्ना प्रदझिग्ना व्णश्लाघ । অবশেষে নৌকা যখন দরে গেল, মাঝখানে একটি তাঁরতররে আড়াল আসিয়া পড়িল, তখন হঠাৎ যেন কী-একটা কটি সমরণ হইল, চমকিয়া মাঝিকে কহিলাম, “মাঝি, আজ আর আমার হুগলি যাওয়া হইল না, এইখান হইতেই বাড়ি ফেরো ।” কিন্তু ফিরিবার সময় উজানে দাঁড় টানিতে হইল, সেই শব্দে আমি সংকুচিত হইয়া উঠিলাম। সেই দাঁড়ের শব্দে যেন এমন কাহাকে আঘাত করিতে লাগিল যাহা সচেতন সন্দের সঙ্কুেমার, যাহা অনন্ত-আকাশ-ব্যাপী অথচ একটি হরিণশাবকের মতো ভীর। নৌকা যখন ঘাটের নিকটবতী হইল তখন দাঁড়ের শব্দে আমার প্রতিবেশিনী প্রথমে ধীরে মুখ তুলিয়া মদ কৌতুহলের সহিত আমার নৌকার দিকে চাহিল, মাহত পরেই আমার ব্যগ্রব্যাকুল দটি দেখিয়া সে চকিত হইয়া গহমধ্যে চলিয়া গেল; আমার মনে হইল, আমি যেন তাহাকে আঘাত করিলাম, যেন কোথায় তাহার বাজিল ! তাড়াতাড়ি উঠিবার সময় তাহার ক্লোড় হইতে একটি অধ"দষ্ট স্বল্পপক্ক পেয়ারা গড়াইতে গড়াইতে নিম্ন সোপানে আসিয়া পড়িল, সেই দশনচিহ্নিত অধরচুম্বিত ফলটির জন্য আমার সমস্ত অন্তঃকরণ উৎসকে হইয়া উঠিল, কিন্তু মাঝিমাল্লাদের লন্জায় তাহা দরে হইতে নিরীক্ষণ করিতে করিতে চলিয়া গেলাম। দেখিলাম, উত্তরোত্তর লোলপোরমান জোয়ারের জল ছলছল লঙ্খে শব্দে তাহার লোল রসনার বারা সেই ফলটিকে আয়ত্ত করিবার জন্য বারবার উন্মুখ হইয়া উঠিতেছে, আধ ঘণ্টার মধ্যে তাহার নিলাজ অধ্যবসায় চরিতাথ হইবে ইহাই কলপনা করিয়া ক্লিষ্টচিত্তে আমি আমার বাড়ির ঘাটে আসিয়া উত্তীণ হইলাম । বটবৃক্ষচ্ছায়ায় পা ছড়াইয়া দিয়া সমস্তদিন স্বপ্ন দেখিতে লাগিলাম, দইখানি সকোমল পদপল্লবের তলে বিশ্বপ্রকৃতি মাথা নত করিয়া পড়িয়া আছে—আকাশ স্থির নিম্পন্দ সন্দের ; তাহারা জানেও না যে, তাহাদেরই রেশকেশার মাদকতায় তপতযৌবন নববসন্ত দিগবিদিকে রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিতেছে। ইতিপবে প্রকৃতি আমার কাছে বিক্ষিপত বিচ্ছিন্ন ছিল, নদী বন আকাশ সমস্তই স্বতন্ত্র ছিল। আজ সেই বিশাল বিপলে বিকীর্ণতার মাঝখানে একটি সন্দেরী প্রতিমাতি দেখা দিবামাত্র তাহা অবয়ব ধারণ করিয়া এক হইয়া উঠিয়াছে। আজ প্রকৃতি আমার কাছে এক ও সন্দের, সে আমাকে অহরহ মকভাবে অননয় করিতেছে, "আমি মৌন, তুমি আমাকে ভাষা দেও, আমার অন্তঃকরণে যে-একটি অব্যক্ত স্তব উত্থিত হইতেছে তুমি তাহাকে ছন্দে লয়ে তানে তোমার সন্দের মানবভাষায় ধৰনিত করিয়া তোলো!” প্রকৃতির সেই নীরব অননয়ে আমার হাদয়ের তলী বাজিতে থাকে। বারবার কেবল এই গান শনি, “হে সন্দেরী, হে মনোহারিণী, হে বিশ্বজয়িনী, হে মনপ্রাণপতঙ্গের একটিমাত্র দীপশিখা, হে অপরিসীম জীবন, হে অনন্তমধরে মৃত্যু!” এ গান শেষ করিতে পারি না, সংলগ্ন করিতে পারি না; ইহাকে আকারে পরিসফট