পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ○bf。 পরিবে না। ইংরাজি কাব্যসাহিত্যের সৌন্দৰ্যলোকে আমি তাহাকে পথ দেখাইয়া লইয়া যাইব । আমি মনে-মনে হাসিলাম, কহিলাম, “কিরণ, তোমার আমতলা, বেগনের খেত আমার কাছে নতন রাজ্য। আমি কস্মিনকালে বনেও জানিতাম না যে, সেখানে বেগন এবং ঝড়ে-পড়া কাঁচা আম ছাড়াও দলভ অমতফল এত সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু যখন সময় আসিবে তখন আমিও তোমাকে এমন এক রাজ্যে লইয়া যাইব যেখানে বেগন ফলে না কিন্তু তথাপি বেগনের অভাব মহেতের জন্য অনুভব করিতে হয় না। সে জ্ঞানের রাজ্য, ভাবের সবগ ।” স্বাস্তকালে দিগন্তবিলীন পাণ্ডুবৰ্ণ সন্ধ্যাতারা ঘনায়মান সায়াহ্নে কমেই যেমন পরিস্ফুট দীপিত লাভ করে, কিরণও তেমনি কিছুদিন ধরিয়া ভিতর হইতে আনন্দে লাবশ্যে নারীত্বের পণ্যতায় যেন প্রস্ফটিত হইয়া উঠিল। সে যেন তাহার গহের, তাহার সংসারের ঠিক মধ্য-আকাশে অধিরোহণ করিয়া চারি দিকে আনন্দের মঙ্গলজ্যোতি বিকাশ করিতে লাগিল; সেই জ্যোতিতে তাহার বন্ধ পিতার শত্রকেশের উপর পবিত্রতার উজ্জবল আভা পড়িল, এবং সেই জ্যোতি আমার উদ্যবেল হৃদয়সমুদ্রের প্রত্যেক তরঙ্গের উপর কিরণের মধর নামের একটি করিয়া জ্যোতিময় স্বাক্ষর মুদ্রিত করিয়া দিল । এ দিকে আমার ছয়টি সংক্ষিপ্ত হইয়া আসিল, বিবাহ-উদ্দেশে বাড়ি আসিবার জন্য পিতার সস্নেহ অনুরোধ ক্ৰমে কঠিন আদেশে পরিণত হইবার উপক্রম হইল— এ দিকে অমলোকেও আর ঠেকাইয়া রাখা যায় না, সে কোনদিন উন্মত্ত বন্যহস্তীর ন্যায় আমার এই পদ্মবনের মাঝখানে ফস করিয়া তাহার বিপলে চরণচতুষ্টয় নিক্ষেপ করিবে এ উদ্যবেগও উত্তরোত্তর প্রবল হইতে লাগিল। কেমন করিয়া অবিলবে অন্তরের আকাঙ্ক্ষাকে ব্যস্ত করিয়া আমার প্রণয়কে পরিপয়ে বিকশিত করিয়া তুলিব, তাহাই ভাবিতে লাগিলাম। পঞ্চম পরিচ্ছেদ একদিন মধ্যাহ্নকালে ভবনাথবাবরে গহে গিয়া দেখি, তিনি গ্রীষ্মের উত্তাপে চৌকিতে ঠেসান দিয়া ঘামাইয়া পড়িয়াছেন এবং সম্মখে গঙ্গাতীরের বারাদার নিজান ঘাটের সোপানে বসিয়া কিরণ কী বই পড়িতেছে। আমি নিঃশব্দপদে পশ্চাতে গিয়া দেখি, একখানি নতন কাব্যসংগ্রহ, যে পাতাটি খোলা আছে তাহাতে শেলির একটি কবিতা উদ্ধত এবং তাহার পাশেব লাল কালিতে একটি পরিকার লাইন টানা । সেই কবিতাটি পাঠ করিয়া কিরণ ঈষৎ একটি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বানভারাকুল নয়নে আকাশের দরতম প্রান্তের দিকে চাহিল: বোধ হইল যেন সেই একটি কবিতা কিরণ আজ এক ঘণ্টা ধরিয়া দশবার করিয়া পড়িয়াছে এবং অনন্ত নীলাকাশে আপন হৃদয়তরণীর পালে একটিমাত্র উত্তপ্ত দীঘনিশ্বাস দিয়া তাহাকে অতিদীর নক্ষত্ৰলোকে tटब्रण कर्गद्भग्नाटझ् ।। ८अलि काशाङ्ग छमा aहै कविडाल्लेि लिथिग्नाझिल छामि ना: भशौन्छनाथনামক কোনো বাঙালি যবেকের জন্য লেখে নাই তাহাতে সন্দেহ নাই, কিন্তু আজ ७ई =ठयशाळम आभि शफा चाब्र-काशाब्र७ अधिकाग्न माझे ऐश आघि रछाव्र कब्रिग्ना বলিতে পারি। কিরণ এই কবিতাটির পাশে আপন অন্তরতম হাদয়-পেন্সিল দিয়া । ૨6