পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

συν " গল্পগুচ্ছ | কেবল এক বিষয়ে তাহার সংশোধন সম্পশে হইয়াছিল। সাহেবের সোহাগ खौवनग्न छब्रम लका ७ कथा न छेत्रन्थिऊघउ छूजिब्रा गिब्राहिण । आचौग्नन्यचरनब्र প্রথা ও নেহ যে কত সখের ও গৌরবের ইহাই সে সবাত্যেকরণে অনুভব করিতেছিল। তাহা ছাড়া, সে যেন এক নতন আবহাওয়ার মধ্যে পড়িয়া গিয়াছিল। লাবণ্যর স্বামী নীলরতনবাব আদালতে বড়ো উকিল হইয়াও সাহেবসবাদের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন না বলিয়া অনেক কথা উঠিত। তিনি বলিতেন, “কাজ কী, ভাই! যদি পাটো ভদ্রতা না করে তবে আমি যাহা দিলাম তাহা তো কোনোমতেই ফিরাইয়া পাইব না। মরভূমির বালি ফটফটে সাদা বলিয়াই কি তাহাতে বীজ বনিয়া কোনো সখ আছে! ফসল ফিরিয়া পাইলে কালো জমিতেও বীজ বোনা যায়।” নবেন্দও টানে পড়িয়া দলে ভিড়িয়া গেল। তাহার আর পরিণামচিন্তা রহিল না। পৈতৃক এবং স্বকীয় যত্নে পাবে জমি যাহা পাট করা ছিল তাহাতেই রায়বাহাদরেখেতাবের সম্পভাবনা আপনিই বাড়িতে লাগিল। ইতিমধ্যে আর নবজলসিঞ্চনের প্রয়োজন রহিল না। নবেন্দর ইংরাজের বিশেষ একটি শখের শহরে এক বহনব্যয়সাধ্য ঘোড়দৌড়স্থান নিমাণ করিয়া দিয়াছিলেন । হেনকালে কনগ্রেসের সময় নিকটবতী হইল। নীলরতনের নিকট চাঁদা-সংগ্রহের অনুরোধপত্র আসিল । নবেন্দ লাবণ্যর সহিত মনের আনন্দে নিশিচন্তমনে তাস খেলিতেছিল। নীলরতন খাতা-হস্তে মধ্যে আসিয়া পড়িয়া কহিল, “একটা সই দিতে হইবে।” পবসংস্কারকমে নবেন্দর মুখ শুকাইয়া গেল। লাবণ্য শশব্যস্ত হইয়া কহিল, “খবরদার, এমন কাজ করিয়ো না, তোমার ঘোড়দৌড়ের মাঠখানা মাটি হইয়া যাইবে।” নবেন্দ আসফালন করিয়া কহিল, “সেই ভাবনায় আমার রাত্রে ঘন্ম হয় না !" নীলরতন আশ্বাস দিয়া কহিল, “তোমার নাম কোনো কাগজে প্রকাশ হইবে না।” লাবণ্য অত্যন্ত চিন্তিত বিজ্ঞভাবে কহিল, “তব কাজ কী ! কী জানি কথায় কথায়—” নবেন্দ তীব্রস্বরে কহিল, “কাগজে প্রকাশ হইলে আমার নাম ক্ষইয়া যাইবে না।” এই বলিয়া নীলরতনের হাত হইতে খাতা টানিয়া একেবারে হাজার টাকা ফস করিয়া সই করিয়া দিল। মনের মধ্যে আশা রহিল, কাগজে সংবাদ বাহির হইবে না। লাবণ্য মাথায় হাত দিয়া কহিল, “করিলে কী!” নবেন্দর দপভরে কহিল, “কেন, অন্যায় কী করিয়াছি।” লাবণ্য কহিল, “শেয়ালদা স্টেশনের গাড, হোয়াইট-অ্যাবের দোকানের অ্যাসিস্টান্ট, হাট ব্রাদারদের সহিস-সাহেব, এরা যদি তোমার উপর রাগ করিয়া অভিমান করিয়া বসেন, যদি তোমার প্রজার নিমন্ত্রণে শ্যাম্পেন খাইতে না আসেন, যদি দেখা হইলে তোমার পিঠ না চাপড়ান!” নবেন্দর উদ্ধতভাবে কহিল, “তাহা হইলে আমি বাসায় গিয়া মরিয়া থাকিব।” দিনকয়েক পরেই নবেন্দ প্রাতঃকালে চা খাইতে খাইতে খবরের কাগজ পড়িতেছেন, হঠাৎ চোখে পড়িল এক x-স্বাক্ষরিত পত্রপ্রেরক তাঁহাকে প্রচুর ধন্যবাদ দিয়া কনগ্রেসের চাঁদার কথা প্রকাশ করিয়াছে এবং তাঁহার মতো লোককে দলে পাইয়া কনগ্রেসের যে কতটা বলবন্ধি হইয়াছে লোকটা তাহার পরিমাণ নির্ণয় করিতে পারে নাই।