পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOミ গল্পগুচ্ছ মাদতর হইয়া কানে আসিয়া প্রবেশ করিতেছে। ঐ-যে বাতায়নের উপরে শিথিলকজা দরজাটা ঝালিয়া পড়িয়াছে ঐখানে ফণিভূষণ অন্ধকারে একলা বসিয়াছিল— বাদলার হাওয়া, বন্টির ছাট এবং যাত্রার গান ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিতেছিল, কোনো খেয়ালই ছিল না। ঘরের দেওয়ালে আর্টস্টাডিয়ো-রচিত লক্ষীসরস্বতীর একজোড়া ছবি টাঙানো; আলনার উপরে একটি গামছা ও তোয়ালে, একটি চুড়িপেড়ে ও একটি ডুরে শাড়ি সদ্যোব্যবহারযোগ্যভাবে পাকানো ঝালানো রহিয়াছে। ঘরের কোণে টিপাইয়ের উপরে পিতলের ডিবায় মণিমালিকার সবহস্তরচিত গুটিকতক পান শাক হইয়া পড়িয়া আছে। কাচের আলমারির মধ্যে তাহার আবালাসশ্চিত চীনের পাতুল, এসেন্সের শিশি, রঙিন কাচের ডিক্যাপ্টার, শৌখিন তাস, সমুদ্রের বড়ো বড়ো কড়ি, এমনকি শান্য সাবানের বাক্সগুলি পর্যন্ত অতি পরিপাটি করিয়া সাজানো; যে অতিক্ষুদ্র গোলকবিশিষ্ট ছোটো শখের কেরোসিন-ল্যাপ সে নিজে প্রতিদিন প্রস্তুত করিয়া স্বহস্তে জনালাইয়া কুলগিটির উপর রাখিয়া দিত তাহা যথাস্থানে নিবাপিত এবং লান হইয়া দাঁড়াইয়া আছে, কেবল সেই ক্ষুদ্র ল্যাম্পটি এই শয়নকক্ষে মণিমালিকার শেষমহেতের নিরক্তের সাক্ষী; সমস্ত শান্য করিয়া যে চলিয়া যায়, সেও এত চিহ্ন এত ইতিহাস, সমস্ত জড়সামগ্রীর উপর আপন সজীব হৃদয়ের এত স্নেহস্বাক্ষর রাখিয়া যায়! এসো মণিমালিকা, এসো, তোমার দীপটি তুমি জম্বালাও, তোমার ঘরটি তুমি আলো করো, আয়নার সম্মুখে দাঁড়াইয়া তোমার যত্নকুষ্টিত শাড়িটি তুমি পরো. তোমার জিনিসগুলি তোমার জন্য অপেক্ষা করিতেছে। তোমার কাছ হইতে কেহ কিছু প্রত্যাশা করে না, কেবল তুমি উপস্থিত হইয়া মাত্র তোমার অক্ষয় যৌবন, তোমার আলান সৌন্দৰ্য লইয়া চারি দিকের এই-সকল বিপলে বিক্ষিপ্ত অনাথ জড়সামগ্রীরাশিকে একটি প্রাণের ঐক্যে সঞ্জীবিত করিয়া রাখো ; এই-সকল মকে প্রাণহীন পদার্থের অব্যক্ত ক্ৰন্দন গহকে মশান করিয়া তুলিয়াছে। গভীর রাত্রে কখন এক সময়ে বটির ধারা এবং যাত্রার গান থামিয়া গেছে। ফণিভূষণ জানলার কাছে যেমন বসিয়া ছিল তেমনি বসিয়া আছে। বাতায়নের বাহিরে এমন একটা জগদব্যাপী নীরন্ধু অন্ধকার যে, তাহার মনে হইতেছিল যেন সম্মুখে যমালয়ের একটা অভ্ৰভেদী সিংহদ্বার, যেন এইখানে দাঁড়াইয়া কাঁদিয়া ডাকিলে চিরকালের লতে জিনিস অচিরকালের মতো একবার দেখা দিতেও পারে। এই মসীকৃষ্ণ মৃত্যুর পটে এই অতিকঠিন নিকষ-পাষাণের উপর সেই হারানো সোনার একটি রেখা পড়িতেও পারে। এমনসময় একটা ঠকঠক শব্দের সঙ্গে সঙ্গো গহনার কম কম শব্দ শোনা গেল। ঠিক মনে হইল শব্দটা নদীর ঘাটের উপর হইতে উঠিয়া আসিতেছে। তখন নদীর জল এবং রাত্রির অন্ধকার এক হইয়া মিশিয়া গিয়াছিল। পালকিত ফণিভূষণ দই जाणिज-त्र्फौठ शमग्न ४षर वाशमभि वाथिष्ठ शहैग्ना छैठल. किश् प्रथा tशल ना । দেখিবার চেষ্টা যতই একান্ত বাড়িয়া উঠিল অন্ধকার ততই যেন ঘনীভূত, জগৎ ততই टयम शब्राक्र श्ब्रा आनिल । थक्लाउ निशौथब्रारz आनन प्रष्ट्रनिटकठळनब्र गयाक्रयात्म অকস্মাৎ অতিথিসমাগম দেখিয়া দ্রতেহন্তে আরও একটা বেশি করিয়া পদ ফেলিয়া भिक्वा ।