পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ 80& দটিদান শনিয়াছি, আজকাল অনেক বাঙালির মেয়েকে নিজের চেষ্টায় স্বামী সংগ্রহ করিতে হয়। আমিও তাই করিয়াছি কিন্তু দেবতার সহায়তায় । আমি ছেলেবেলা হইতে অনেক ব্রত এবং অনেক শিবপজা করিয়াছিলাম। আমার আট বৎসর বয়স উত্তীণ না হইতেই বিবাহ হইয়া গিয়াছিল। কিন্তু পব’জন্মের পাপ-বশত আমি আমার এমন স্বামী পাইয়াও সম্পণে পাইলাম না। মা ত্রিনয়নী আমার দইচক্ষ লইলেন। জীবনের শেষম হতে পর্যন্ত বামীকে দেখিয়া লইবার সখে দিলেন না। বাল্যকাল হইতেই আমার অগ্নিপরীক্ষার আরম্ভ হয়। চোদ্দ বৎসর পার না হইতেই আমি একটি মতশিশু জন্ম দিলাম, নিজেও মরিবার কাছাকাছি গিয়াছিলাম; কিন্তু যাহাকে দুঃখভোগ করিতে হইবে সে মরিলে চলিবে কেন। যে দীপ জনলিবার জন্য হইয়াছে তাহার তেল অলপ হয় না; রান্তিভোর জনলিয়া তবে তাহার নিবাণ । বচিলাম বটে কিন্তু শরীরের দাবীলতায়, মনের খেদে, অথবা যে কারণেই হউক, আমার চোখের পীড়া হইল । আমার স্বামী তখন ডাক্টারি পড়িতেছিলেন। নতন বিদ্যাশিক্ষার উৎসাহ-বশত চিকিৎসা করিবার সংযোগ পাইলে তিনি খুশি হইয়া উঠিতেন। তিনি নিজেই আমার চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন । দাদা সে বছর বি-এল দিবেন বলিয়া কলেজে পড়িতেছিলেন। তিনি একদিন আসিয়া আমার বামীকে কহিলেন, “করিতেছ কী। কুমরে চোখ দুটো যে নষ্ট করিতে বসিয়াছ । একজন ভালো ডান্তার দেখাও।” আমার স্বামী কহিলেন, “ভালো ডাক্তার আসিয়া আর নতন চিকিৎসা কী করিবে । ওযন্ধপত্র তো সব জানাই আছে।” দাদা কিছ রাগিয়া কহিলেন, “তবে তো তোমার সঙ্গে তোমাদের কলেজের বড়োসাহেবের কোনো প্রভেদ নাই।” تاري व्याप्नौ बलिट्जन, “ठाईन अफिरउइ छाढाव्रिश्न छुझि कौ हरुाक । छूधि यथम করিবে তখন তোমার স্ত্রীর সম্পত্তি লইয়া যদি কখনও মকদ্দমা বাধে তুমি কি আমার পরামর্শমত চলিবে ।” আমি মনে-মনে ভাবিতেছিলাম, রাজায় রাজায় যথে হইলে উলখেড়েরই বিপদ সবচেয়ে বেশি। স্বামীর সঙ্গে বিবাদ বাধিল দাদার, কিন্তু দুইপক্ষ হইতে বাজিতেছে আমাকেই। আবার ভাবিলাম, দাদারা যখন আমাকে দানই করিয়াছেন তখন আমার সম্বন্ধে কতব্য লইয়া এ-সমস্ত ভাগাভাগি কেন। আমার সখেদঃখ, আমার রোগ ও আরোগ্য, সে তো সমস্তই আমার স্বামীর । সেদিন আমার এই এক সামান্য চোখের চিকিৎসা লইয়া দাদার সঙ্গে আমার স্বামীর যেন একটা মনান্তর হইয়া গেল। সহজেই আমার চোখ দিয়া জল পড়িতেছিল, আমার জলের ধারা আরও বাড়িয়া উঠিল; তাহার প্রকৃত কারণ আমার স্বামী কিবা দাদা কেহই তখন বকিলেন না।