পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मचिट्ठेनान 836 দেশ ছাড়িয়া টাকা উপাজনের পশ্চাতে সংসারমরভূেমির মধ্যে কোথায় অদশ্য হইয়া চলিয়া যাইতেছেন! আমি যাহা বিশ্বাস করি, যাহাকে ধম বলি, বাহাকে সকল সখসম্পত্তির অধিক বলিয়া জানি, তিনি অতিদর হইতে তাহার প্রতি হাসিয়া কটাক্ষপাত করেন। কিন্তু একদিন এ বিচ্ছেদ ছিল না, প্রথম বয়সে আমরা এক পথেই যাত্রা আরম্ভ করিয়াছিলাম; তাহার পরে কখন যে পথের ভেদ হইতে আরম্ভ হইতেছিল তাহা তিনিও জানিতে পারেন নাই, আমিও জানিতে পারি নাই; অবশেষে আজ আমি আর তাঁহাকে ডাকিয়া সাড়া পাই না। এক-এক সময় ভাবি, হয়তো অন্ধ বলিয়া সামান্য কথাকে আমি বেশি করিয়া দেখি। চক্ষ থাকিলে আমি হয়তো সংসারকে ঠিক সংসারের মতো করিয়া চিনিতে পারিতাম। আমার স্বামীও আমাকে একদিন তাহাই বুঝাইয়া বলিলেন। সেদিন সকালে একটি বন্ধ মুসলমান তাহার পৌত্রীর ওলাউঠার চিকিৎসার জন্য তাঁহাকে ডাকিতে আসিয়াছিল। আমি শুনিতে পাইলাম সে কহিল, “বাবা, আমি গরিব, কিন্তু আল্লা তোমার ভালো করিবেন।” আমার স্বামী কহিলেন, “আল্লা যাহা করিবেন কেবল তাহাতেই আমার চলিবে না, তুমি কী করিবে সেটা আগে শুনি - শনিবামারই ভাবিলাম, ঈশ্বর আমাকে অন্ধ করিয়াছেন, কিন্তু বধির করেন নাই কেন । বন্ধ গভীর দীঘনিশবাসের সহিত হে আল্লা বলিয়া বিদায় হইয়া গেল। আমি তখনই কিকে দিয়া তাহাকে অন্তঃপরের খিড়কি-বোরে ডাকাইয়া আনিলাম: কহিলাম, “বাবা, তোমার নাতনির জন্য এই ডাক্তারের খরচা কিছু দিলাম, তুমি আমার স্বামীর মঙ্গল প্রার্থনা করিয়া পাড়া হইতে হরিশ ডাক্তারকে ডাকিয়া লইয়া যাও।” কিন্তু সমস্ত দিন আমার মুখে অন্ন রচিল না। স্বামী অপরাহুে নিদ্রা হইতে জাগিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমাকে বিমষ দেখিতেছি কেন।” প্রবকালের অভ্যস্ত উত্তর একটা মুখে আসিতেছিল— না, কিছই হয় নাই; কিন্তু ছলনার কাল গিয়াছে, গিয়া ভাবিয়া পাই না, ঠিক কী বলিবার আছে। আমার অন্তরের কথাটা আমি বাঝাইয়া বলিতে পারিব কি না জানি না, কিন্তু নিশ্চয় তুমি নিজের মনের মধ্যে বঝিতে পার, আমরা দুজনে যেমনভাবে এক হইয়া জীবন আরম্ভ করিয়াছিলাম আজ তাহা পথক হইয়া গেছে।” স্বামী হাসিয়া কহিলেন, “পরিবতনই তো সংসারের ধম।” আমি কহিলাম, “টাকাকড়ি রপেযেীবন সকলেরই পরিবতন হয়, কিন্তু নিত্য জিনিস কি কিছুই নাই।” তখন তিনি একটা গভীর হইয়া কহিলেন, “দেখো, অন্য সীলোকেরা সত্যকার অভাব লইয়া দুঃখ করে— কাহারও স্বামী উপাজন করে না, কাহারও স্বামী ভালোবাসে না; তুমি আকাশ হইতে দুঃখ টানিয়া আন।" আমি তখনই বকিলাম, অন্ধতা আমার চোখে এক অঞ্জন মাখাইয়া আমাকে এই পরিবর্তমান সংসারের বহিরে লইয়া গেছে; আমি অন্য সীলোকের মতো নহি; আমাকে আমার স্বামী বুঝিবেন না। ইতিমধ্যে আমার এক পিস শাশুড়ি দেশ হইতে তাঁহার ভ্রাতুপাতের সংবাদ লইতে আসিলেন। আমরা উভয়ে তাঁহাকে প্রণাম করিয়া উঠিতেই তিনি প্রথম কথাতেই বলিলেন, “বলি বউমা, তুমি তো কপালক্ৰমে দুইটি চক্ষ খোয়াইয়া বসিয়াছ, এখন शाग्राह्मव्र अविनाश ठान्थ न्छौटक लट्टेग्ना शब्रष्कंवा कालाईष्य कौ काव्रग्ना । डेशव्र आग्न