পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩৮

গল্পগুচ্ছ 8ՀԳ উদ্ধার গৌরী প্রাচীন ধনীবংশের পরমাদরে পালিতা সন্দেরী কন্যা। স্বামী পরেশ হীনাবস্থা হইতে সম্প্রতি নিজের উপাজনে কিঞ্চিৎ অবস্থার উন্নতি করিয়াছে। যতদিন তাহার দৈন্য ছিল ততদিন কন্যার কষ্ট হইবে ভয়ে শ্বশর শাশুড়ি সাঁকে তাঁহার বাড়িতে পাঠান নাই। গৌরী বেশ-একটা বয়স্থা হইয়াই পতিগহে আসিয়াছিল। বোধ করি এই-সকল কারণেই পরেশ সন্দেরী যাবতী সীকে সম্পশে নিজের আয়ত্তগম্য বলিয়া বোধ করিতেন না। এবং বোধ করি সন্দিপথ স্বভাব তাঁহার একটা ব্যাধির মধ্যে। পরেশ পশ্চিমে একটি ক্ষুদ্র শহরে ওকালতি করিতেন; স্বরে আত্মীয়স্বজন বড়ো কেহ ছিল না, একাকিনী সত্রীর জন্য তাঁহার চিত্ত উদবিগ্ন হইয়া থাকিত। মাঝে মাঝে এক-একদিন হঠাৎ অসময়ে তিনি আদালত হইতে বাড়িতে আসিয়া উপস্থিত হইতেন । প্রথম প্রথম স্বামীর এইরুপ আকস্মিক অভু্যদয়ের কারণ গৌরী ঠিক বকিতে পারিত না । মাঝে মাঝে অকারণ পরেশ এক-একটা করিয়া চাকর ছাড়াইয়া দিতে লাগিলেন। কোনো চাকর তাঁহার আর দীর্ঘকাল পছন্দ হয় না। বিশেষত অসুবিধার আশঙ্কা করিয়া যে চাকরকে গৌরী রাখিবার জন্য অধিক আগ্রহ প্রকাশ করিত তাহাকে পরেশ এক মহত স্থান দিতেন না। তেজস্বিনী গৌরী ইহাতে যতই আঘাত বোধ করিত স্বামী ততই অস্থির হইয়া এক-এক সময়ে অদ্ভূত ব্যবহার করিতে থাকিতেন। অবশেষে আত্মসম্ববরণ করিতে না পারিয়া যখন দাসীকে গোপনে ডাকিয়া পরেশ নানাপ্রকার সন্দিন্ধ জিজ্ঞাসাবাদ আরম্ভ করিলেন তখন সে-সকল কথা গৌরীর কণাগোচর হইতে লাগিল। অভিমানিনী স্বল্পভাষিণী নারী অপমানে আহত সিংহিনীর ন্যায় অন্তরে-অন্তরে উদ্দীপ্ত হইতে লাগিলেন এবং এই উন্মত্ত সন্দেহ দণ্ডপতির মাঝখানে প্রলয়খণের মতো পড়িয়া উভয়কে একেবারে বিচ্ছিন্ন করিয়া দিল। গৌরীর কাছে তাঁহার তীব্র সন্দেহ প্রকাশ পাইয়া যখন একবার লন্জা ভাঙিয়া গেল তখন পরেশ পষ্টতই প্রতিদিন পদে-পদে আশঙ্কা ব্যক্ত করিয়া সতীর সহিত কলহ করিতে আরম্ভ করিল এবং গৌরী যতই নিরক্তের অবজ্ঞা এবং কষাঘাতের ন্যায় তীক্ষ কটাক্ষ বারা তাঁহাকে আপাদমস্তক যেন ক্ষতবিক্ষত করিতে লাগিল ততই তাঁহার সংশয়মত্ততা আরও যেন বাড়িবার দিকে চলিল । এইরুপ স্বামীসখ হইতে প্রতিহত হইয়া পত্রহীনা তরণী ধমে’ মন দিল । হরিসভার নবীন প্রচারক রহমচারী পরমানন্দস্বামীকে ডাকিয়া মন্ত্র লইল এবং তাঁহার নিকট ভাগবতের ব্যাখ্যা শনিতে আরম্ভ করিল। নারীহাদয়ের সমস্ত ব্যথা স্নেহ প্রেম কেবল ভক্তি-আকারে পঞ্জীভূত হইয়া গরে দেবের পদতলে সমপিত হইল। পরমানন্দের সাধন চরিত্র সম্বন্ধে দেশে বিদেশে কাহারও মনে সংশয়মাত্র ছিল না। সকলে তাঁহাকে পজা করিত। পরেশ ই-হার সম্বন্ধে মাখ ফাটিয়া সংশয় প্রকাশ করিতে পারিতেন না বলিয়াই তাহা গাত ক্ষতের মতো ক্রমশ তাঁহার মমের নিকট °षिज्ठ धन्न कब्रिज्ञा हुठिनम्नाङ्छिन ।