পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্টনীড় 86 & তাহাদের সংকল্পিত বাগানে এই আমড়াতলার চার দিক কীভাবে বাঁধাইতে হইবে অমল একটি ছোটো কোদাল লইয়া তাহারই দাগ কাটিতেছিল— এমনসময় চার গাছের ছায়ায় বসিয়া বলিল, “অমল, তুমি যদি লিখতে পারতে তা হলে বেশ হত।” অমল জিজ্ঞাসা করিল, “কেন বেশ হত।” চার। তা হলে আমাদের এই বাগানের বর্ণনা করে তোমাকে দিয়ে একটা গল্প লেখাতুম। এই ঝিল, এই হরিণের ঘর, এই আমড়াতলা, সমস্তই তাতে থাকত— আমরা দুজনে ছাড়া কেউ বঝেতে পারত না, বেশ মজা হত। অমল, তুমি একবার লেখবার চেষ্টা করে দেখো-না, নিশ্চয় তুমি পারবে। অমল কহিল, “আচ্ছা, যদি লিখতে পারি তো আমাকে কী দেবে।” চার কহিল, “তুমি কী চাও।” অমল কহিল, “আমার মশারির চালে আমি নিজে লতা একে দেব, সেইটে তোমাকে আগাগোড়া রেশম দিয়ে কাজ করে দিতে হবে।” চার কহিল, “তোমার সমস্ত বাড়াবাড়ি! মশারির চালে আবার কাজ ।” মশারি জিনিসটাকে একটা শ্রীহীন কারাগারের মতো করিয়া রাখার বিরুদ্ধে অমল অনেক কথা বলিল। সে কহিল, সংসারের পনেরো আনা লোকের যে সৌন্দর্যবোধ নাই এবং কুশ্রীতা তাহাদের কাছে কিছুমাত্র পীড়াকর নহে, ইহাই তাহার প্রমাণ। চার সে কথা তৎক্ষণাং মনে-মনে মানিয়া লইল এবং “আমাদের এই দুটি লোকের নিভৃত কমিটি যে সেই পনেরো আনার অন্তগত নহে ইহা মনে করিয়া সে খুশি হইল। কহিল, “আচ্ছা বেশ, আমি মশারির চাল তৈরি করে দেব, তুমি লেখো।” অমল রহস্যপণভাবে কহিল, “তুমি মনে কর, আমি লিখতে পারি নে ?” চার অত্যন্ত উত্তেজিত হইয়া কহিল, “তবে নিশ্চয় তুমি কিছু লিখেছ, আমাকে দেখাও।” অমল। আজ থাক, বউঠান। চার । না, আজই দেখাতে হবে—মাথা খাও, তোমার লেখা নিয়ে এসো গে । চারকে তাহার লেখা শোনাইবার অতিব্যগ্রতাতেই অমলকে এতদিন বাধা দিতেছিল। পাছে চার না বোঝে, পাছে তাহার ভালো না লাগে, এ সংকোচ সে তাড়াইতে পারিতেছিল না । আজ খাতা আনিয়া একটুখানি লাল হইয়া, একটুখানি কাশিয়া, পড়িতে আরম্ভ করিল। চার গাছের গড়িতে হেলান দিয়া ঘাসের উপর পা ছড়াইয়া শুনিতে লাগিল। প্রবন্ধের বিষয়টা ছিল আমার খাতা'। অমল লিখিয়াছিল– হে আমার শত্র খাতা, আমার কল্পনা এখনও তোমাকে পশ করে নাই। সতিকাগহে ভাগ্যপরে্ব প্রবেশ করিবার প্বে শিশরে ললাটপটের ন্যায় তুমি নিম’ল, তুমি রহস্যময়। যেদিন তোমার শেষ পাঠার শেষ ছলে উপসংহার লিখিয়া দিব সেদিন আজ কোথায় ! उाभाद्र ७ई शठ लिन्ग:नष्ठणनि एनई छिब्रमिट्नग्न जना भजौफिश्ऊि नयान्ठिञ्च कथा আজ স্বপ্নেও কল্পনা করিতেছে না।”— ইত্যাদি অনেকখানি লিখিয়াছিল। চার তরচ্ছোয়ার বসিয়া স্তৰ হইয়া শুনিতে লাগিল। পড়া শেষ হইলে ক্ষশকাল ऐ” कब्रिग्ना था किल्ला कश्लि, "टूभि आयाब्र जिथरठ नाग्न ना"