পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাল্যদান * 604 করিতেছ।" পটল। আমি ছেলেমানষি করি না তুমি বড়োমানবি কর! তোমার বাকি বয়সের গাছপাথর নাই! যতীন পলায়ন করিল। পটল তাহার পিছনে পিছনে ছটিতে ছটিতে কহিল, “ও যতীন, তোমার ভয় নাই, তোমার ভয় নাই। এখনই তোমার মালা দিতে হইবে না— ফাগুন-চৈত্রে লন নাই— এখনও হাতে সময় আছে।” পটল বাহাকে কুড়ানি বলিয়া ডাকে সেই মেয়েটি অবাক হইয়া রহিল। তাহার বয়স ষোলো হইবে, শরীর ছিপছিপে—মুখশ্রী সম্বন্ধে অধিক কিছু বলিবার নাই, কেবল মুখে এই একটি অসামান্যতা আছে যে দেখিলে যেন বনের হরিণের ভাব মনে আসে। কঠিন ভাষায় তাহাকে নিবন্ধি বলা যাইতেও পারে, কিন্তু তাহা বোকামি নহে; তাহা বদ্ধিবত্তির অপরিস্ফারণমাত্র, তাহাতে কুড়ানির মুখের সৌন্দয নষ্ট না করিয়া বরণ একটি বিশিষ্টতা দিয়াছে। সন্ধ্যাবেলায় হরকুমারবাব কলিকাতা হইতে ফিরিয়া আসিয়া যতীনকে দেখিয়া কহিলেন, “এই-যে, যতীন আসিয়াছ, ভালোই হইয়াছে। তোমাকে একটা ডাক্তারি করিতে হইবে। পশ্চিমে থাকিতে দভিক্ষের সময় আমরা একটি মেয়েকে লইয়া মানুষ করিতেছি — পটল তাহাকে কুড়ানি বলিয়া ডাকে। উহার বাপ-মা এবং ঐ মেয়েটি আমাদের বাংলার কাছে একটি গাছতলায় পড়িয়া ছিল। যখন খবর পাইয়া গেলাম গিয়া দেখি, উহার বাপ-মা মরিয়াছে, মেয়েটির প্রাপটক্সে আছে মাত্র। পটল তাহাকে অনেক যন্ত্রে বচিাইয়াছে। উহার জাতের কথা কেহ জানে না— তাহা লইয়া কেহ আপত্তি করিলেই পটল বলে, ‘ও তো বিজ ; একবার মরিয়া এবার আমাদের ঘরে জমিয়াছে, উহার সাবেক জাত কোথায় ঘুচিয়া গেছে। প্রথমে মেয়েটি পটলকে মা বলিয়া ডাকিতে শর করিয়াছিল; পটল তাহাকে ধমক দিয়া বলিল, “খবরদার, আমাকে মা বলিস নে— আমাকে দিদি বলিস। পটল বলে, অতবড়ো মেয়ে মা বলিলে নিজেকে বাড়ি বলিয়া মনে হইবে যে। বোধ করি, সেই দভিক্ষের উপবাসে বা আর-কোনো কারণে উহার থাকিয়া থাকিয়া শলবেদনার মতো হয়। ব্যাপারখানা কী, তোমাকে ভালো করিয়া পরীক্ষা করিয়া দেখিতে হইবে। ওরে তুলসি, কুড়ানিকে ডাকিয়া আন তো।” কুড়ানি চুল বাঁধতে বধিতে অসম্পণে বেশী পিঠের উপরে দলাইয়া হরকুমারবাবর ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার হরিণের মতো চোখদটি দুজনের উপর রাখিয়া সে চাহিয়া রহিল। যতীন ইতস্তত করিতেছে দেখিয়া হরকুমার তাহাকে কহিলেন, “বথা সংকোচ করিতেছ, যতীন। উহাকে দেখিতে মস্ত ডাগর, কিন্তু কাঁচ ডাবের মতো উহার ভিতরে কেবল জল ছলছল করিতেছে— এখনও শাঁসের রেখামার দেখা দেয় নাই। ও কিছুই বোঝে না—উহাকে তুমি নারী বলিয়া ভ্ৰম করিয়ো না, ও বনের হরিণী।” যতীন তাহার ডান্তরি কতব্য সাধন করিতে লাগিল—কুড়ানি কিছমাত্র কুষ্ঠা প্রকাশ করিল না। যতীন কহিল, “শরীরষদের কোনো বিকার তো বোঝা গেল না।” •ाप्नेल झन् कब्रिग्ना घटब्र छर्दाका र्याजल, “हाम्रयान्टाग्न७ ८काट्ना विकाग्न घटझै नाई। তার পরীক্ষা দেখিতে চাও?” o बीजग्ना कूफ़ानिव्र कारइ शिम्ना उाशव्र क्लिषक न्त्रण* कब्रिग्ना कश्लि, “e कूफ़ामि,