পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હ૭૨ গল্পগুচ্ছ o মছিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিয়াছে। * . হরকুমারবাবা কুড়ানির সন্ধানে পলিসে খবর দিলেন। সেবারে প্লেগ-দমনের বিভীষিকায় এত লোক এত দিকে পলায়ন করিতেছিল যে, সেই-সকল পলাতকদলের মধ্য হইতে একটি বিশেষ লোককে বাছিয়া লওয়া পলিসের পক্ষে শক্ত হইল। হরকুমারবাব দুই-চারিবার ভুল লোকের সন্ধানে অনেক দুঃখ এবং লন্জা পাইয়া কুড়ানির আশা পরিত্যাগ করিলেন। অজ্ঞাতের কোল হইতে তাঁহারা যাহাকে পাইয়াছিলেন অজ্ঞাতের কোলের মধ্যেই সে আবার লকোইয়া পড়িল । যতীন বিশেষ চেষ্টা করিয়া সেবার প্লেগ-হাসপাতালে ডাক্তারি-পদ গ্রহণ করিয়াছিল। একদিন দপেরেবেলায় বাসায় আহার সারিয়া হাসপাতালে আসিয়া সে শনিল, হাসপাতালের সী-বিভাগে একটি নতন রোগিণী আসিয়াছে। পলিস তাহাকে পথ হইতে কুড়াইয়া আনিয়াছে। যতীন তাহাকে দেখিতে গেল। মেয়েটির মুখের অধিকাংশ চাদরে ঢাকা ছিল । যতীন প্রথমেই তাহার হাত তুলিয়া লইয়া নাড়ী দেখিল। নাড়ীতে জর অধিক নাই, কিন্তু দবলতা অত্যন্ত। তখন পরীক্ষার জন্য মুখের চাদর সরাইযা দেখিল, সেই कूफ़ानि । ইতিমধ্যে পটলের কাছ হইতে যতীন কুড়ানির সমস্ত বিবরণ জানিযাছিল। অব্যন্ত হৃদয়ভাবের বারা ছায়াচ্ছন্ন তাহার সেই হরিণচক্ষদটি কাজের অবকাশে যতীনের ধ্যানদৃষ্টির উপরে কেবলই আশ্রহেীন কাতরতা বিকীর্ণ করিয়াছে। আজ সেই রোগনিমীলিত চক্ষর সন্দীঘ পল্লব কুড়ানির শীর্ণ কপোলের উপরে কালিমার রেখা টানিয়াছে; দেখিবামাত্র যতীনের বকের ভিতরটা হঠাৎ কে যেন চাপিয়া ধরিল। এই একটি মেয়েকে বিধাতা এত যত্নে ফলের মতো স্কুমার করিয়া গড়িয়া দভিক্ষ হইতে মারীর মধ্যে ভাসাইয়া দিলেন কেন । আজ এই-ষে পেলল প্রাণটি ক্লিটে হইয়া বিছানার উপরে পড়িয়া আছে, ইহার এই অলপ কয়দিনের আয়র মধ্যে এত বিপদের আঘাত, এত বেদনার ভার সহিল কী করিয়া, ধরিল কোথায । যতীনই-লা ইহার জীবনের মাঝখানে তৃতীয় আর-একটি সংকটের মতো কোথা হইতে আসিয়া জড়াইয়া পড়িল । রন্ধ দীর্ঘনিশ্বাস যতীনের বক্ষোবারে আঘাত করিতে লাগিল—কিন্তু সেই আঘাতের তাড়নায় তাহার হৃদয়ের তারে একটা সখের মীড়ও বাঞ্জিয়া উঠিল। যে ভালোবাসা জগতে দলভ, যতীন তাহা না চাহিতেই, কাগনের একটি মধ্যাঙ্কে একটি পাণবিকশিত মাধবীমঞ্জরির মতো অকস্মাৎ তার পায়ের কাছে আপনি আসিয়া খসিয়া পড়িয়াছে। যে ভালোবাসা এমন করিয়া মৃত্যুর বার পর্যন্ত আসিয়া মছিত হইয়া পড়ে, পথিবীতে কোন লোক সেই দেবভোগ্য নৈবেদ্যলাভের অধিকারী। যতীন কুড়ানির পাশে বসিয়া তাহাকে অলপ অলপ গরম দন্ধ খাওয়াইয়া দিতে লাগিল। খাইতে খাইতে অনেকক্ষণ পরে সে দীঘনিশ্বাস ফেলিয়া চোখ মেলিল । যতীনের মাখের দিকে চাহিয়া তাহাকে সদের সবনের মতো যেন মনে করিয়া লইতে छको कब्रिज । बउौन यथन ठाशद्र कश्राएल शठ ब्राथग्ना ४कऎषानि नाफ़ा निग्ना काइल “কুড়ানি” তখন তাহার অজ্ঞানের শেষ ঘোরটুকু হঠাৎ ভাঙিয়া গেল-যতীনকে সে চিনিল এবং তখনই তাহার চোখের উপরে বাপকোমল আর-একটি মোহের জাবরণ