পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কম"ফল &之é G: छन्I ভূত্যের প্রবেশ ভৃত্য। সাহেব-বাড়ি হতে এই কাপড় এয়েছে। মন্মথ। নিয়ে বা কাপড়, নিয়ে যা। এখনি নিয়ে যা। বিধরে প্রতি দেখো, সতীশকে যদি আমি এ কাপড় পরতে দেখি তবে তাকে বাড়িতে থাকতে দেব না, মেসে পাঠিয়ে দেব, সেখানে সে আপন ইচ্ছামতো চলতে পারবে । দ্রুত প্রস্থান শশধর । অবাক কাপড় ! বিধ । (সরোদনে) রায়মশায়, তোমাকে কী বলব, আমার বেচে সখে নেই। নিজের ছেলের উপর বাপের এমন ব্যবহার কেউ কোথাও দেখেছে ? শশধর । আমার প্রতি ব্যবহারটাও তো ঠিক ভালো হল না। বোধ হয় মন্মথর হজমের গোল হয়েছে। আমার পরামর্শ শোনো, তুমি ওকে রোজ সেই একই ডালভাত খাইয়ো না। ও যতই বলক-না কেন, মাঝে মাঝে মসলাওয়ালা রান্না না হলে মুখে রোচে না, হজমও হয় না। কিছুদিন ওকে ভালো করে খাওয়াও দেখি, তার পরে তুমি যা বলবে ও তাই শুনবে । এ-সম্বন্ধে তোমার দিদি তোমার চেয়ে ভালো বোঝেন । O শশধরের প্রস্থান। বিধাম-খাঁর কন্দন বিধবা জা । (ঘরে প্রবেশ করিয়া, আত্মগত) কখনো কান্না, কখনো হাসি— কতরকম যে সোহাগ তার ঠিক নেই— বেশ আছে । দীঘ-নিশ্বাস ও মেজবউ, গোসাঘরে বসেছিস । ঠাকুরপোকে ডেকে দিই, মানভঞ্জনের পালা হয়ে যাক । অষ্টম পরিচ্ছেদ নলিনী। সতীশ, আমি তোমাকে কেন ডেকে পাঠিয়েছি বলি, রাগ কোরো না। সতীশ । তুমি ডেকেছ বলে বাগ করব আমার মেজাজ্ঞ কি এতই বদ । নলিনী। না, ও-সব কথা থাক। সকল সময়েই নন্দনীসাহেবের চেলাগিরি কোরো না। বলো দেখি আমার জন্মদিনে তুমি আমাকে অমন দামি জিনিস কেন দিলে। সতীশ । যাকে দিযেছি তাঁর তুলনায় জিনিসটার দাম এমনই কি বেশি। নলিনী। আবাব ফের নন্দীর নকল । সতীশ । নন্দীর নকল সাধে করি ? তার প্রতি যখন ব্যক্তিবিশেষের পক্ষপাত— নলিনী। তবে যাও, তোমার সঙ্গে আর আমি কথা কব না। সতীশ । আচ্ছা, মাপ করো, আমি চুপ করে শনেব । নলিনী। দেখো সতীশ, মিসটার নন্দী আমাকে নিবোধের মতো একটা দামি ব্রেসলেট পাঠিয়েছিলেন, তুমি অমনি নিবাধিতার সর চড়িয়ে তার চেয়ে দামি একটা নেকলেস পাঠাতে গেলে কেন। সতীশ । যে-অবপথায় লোকের বিবেচনাশক্তি থাকে না সে-অবস্থাটা তোমার জানা