পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 6 O গল্পগুচ্ছ তেতুলগাছকে বেষ্টন করিয়া প্রকাণ্ড বটগাছ উঠিয়াছে। তৎক্ষণাৎ তাহার মনে পড়িল— তেতুল বটের কোলে দক্ষিণে যাও চলে ॥ দক্ষিণে কিছু দরে যাইতেই ঘন জঙ্গলের মধ্যে আসিয়া পড়িল। সেখানে সে বেতঝাড় ভেদ করিয়া চলা একেবারে অসাধ্য। যাহা হউক, মৃত্যুঞ্জয় ঠিক করিল, এই গাছটাকে কোনোমতে হারাইলে চলিবে না। এই গাছের কাছে ফিরিয়া আসিবার সময় গাছের অন্তরাল দিয়া অনতি দরে একটা মন্দিরের চড়া দেখা গেল। সেই দিকের প্রতি লক্ষ করিয়া মৃত্যুঞ্জয় এক ভাঙা মন্দিরের কাছে আসিয়া উপস্থিত হইল। দেখিল, নিকটে একটা চুল্লি, পোড়া কাঠ আর ছাই পড়িয়া আছে। অতি সাবধানে মৃত্যুঞ্জয় ভগ্নাবার মন্দিরের মধ্যে উকি মারিল। সেখানে কোনো লোক নাই, প্রতিমা নাই, কেবল একটি কবল কমণ্ডল আর গেরয়া উত্তরীয় পড়িয়া আছে। তখন সন্ধ্যা আসন্ন হইয়া আসিয়াছে; গ্রাম বহু দরে, অন্ধকারে বনের মধ্যে পথ সন্ধান করিয়া যাইতে পারবে কি না, তাই এই মন্দিরে মনুষ্যবসতির লক্ষণ দেখিয়া মৃত্যুঞ্জয় খুশি হইল। মন্দির হইতে একটি বহৎ প্রস্তরখণ্ড ভাঙিয়া বারের কাছে পড়িয়া ছিল; সেই পাথরের উপরে বসিয়া নতশিরে ভাবিতে ভাবিতে মৃত্যুঞ্জয় হঠাৎ পাথরের গায়ে কী যেন লেখা দেখিতে পাইল । ঝ:কিয়া পড়িয়া দেখিল একটি চকু অাঁকা, তাহার মধ্যে কতক পষ্ট কতক লপ্তেপ্রায় -ভাবে নিম্নলিখিত সাংকেতিক অক্ষর লেখা আছে— এই চক্ৰটি মৃত্যুঞ্জয়ের সুপরিচিত। কত অমাবস্যারাত্রে পড়াগহে সগন্ধ ধপের ধমে ঘতদীপালোকে তুলট কাগজে অঙ্কিত এই চরুচিহ্নের উপরে ঝকিয়া পড়িয়া রহস্য ভেদ করিবার জন্য একাগ্রমনে সে দেবীর প্রসাদ বাচঞা করিয়াছে। আজ অভীষ্টসিন্ধির অত্যন্ত সন্নিকটে আসিয়া তাহার সবাঙ্গ যেন কাঁপতে লাগিল। পাছে তীরে আসিয়া তরী ডোবে, পাছে সামান্য একটা ভুলে তাহার সমস্ত নষ্ট হইয়া যায়, পাছে সেই সন্ন্যাসী পাবে আসিয়া সমস্ত উথার করিয়া লইয়া গিয়া থাকে, এই আশন্কায় তাহার বকের মধ্যে তোলপাড় করিতে লাগিল। এখন যে তাহার কী কতব্য তাহা সে ভাবিয়া পাইল না। তাহার মনে হইল, সে হয়তো তাহার ঐশ্বৰভাণ্ডারের ঠিক উপরেই বসিয়া আছে, অথচ কিছুই জানিতে পাইতেছে না। বসিয়া বসিয়া সে কালীনাম জপ করিতে লাগিল; সন্ধ্যার অন্ধকার নিবিড় হইয়া जानिज; किद्विाव्र थर्शनzठ ननछूभि प्रथव्र श्ब्रा ऎठिंज ।