পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গনপতখন ●●邻 शब्रिग्रा प्रष्ट्राअन्त्र शौठब्र धौल्न प्रिणरङ जाणिण। वशुक्ल थाप्नद्रा चयिनक चाँकार्वाका •ाथ निम्ना अनक घृब्रिब्रा-शर्गब्रब्रा ७क आग्नणाग्न आनिम्ना नमानौ कर्णाश्व्जन, “झाँक्ला७ ।” মৃত্যুঞ্জয় দাঁড়াইল। তাহার পরে একটা মরিচাপড়া লোহার বার খোলার উৎকট শব্দ শোনা গেল। সন্ন্যাসী মৃত্যুঞ্জয়ের হাত ধরিয়া কহিলেন, “এসো।” মৃত্যুঞ্জয় অগ্রসর হইয়া যেন একটা ঘরে প্রবেশ করিল। তখন আবার চকমকি ঠোকার শব্দ শোনা গেল। কিছুক্ষণ পরে যখন মশাল জনলিয়া উঠিল তখন এ কী আশ্চর্য দশা! চারি দিকে দেয়ালের গায়ে মোটা মোটা সোনার পাত ভূগভরন্থ কঠিন স্যালোকপঞ্জের মতো স্তরে স্তরে সজিত। মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দটা জনলিতে লাগিল। সে পাগলের মতো বলিয়া উঠিল, “এ সোনা আমার—এ আমি কোনোমতেই ফেলিয়া যাইতে পারিব না।” সন্ন্যাসী কহিলেন, “আচ্ছা, ফেলিয়া যাইয়ো না; এই মশাল রহিল— আর এই ছাতু চিড়া আর বড়ো এক-ঘটি জল রাখিয়া গেলাম।” দেখিতে দেখিতে সন্ন্যাসী বাহির হইয়া আসিলেন, আর এই সবণ"ভাণ্ডারের লৌহবারে কপাট পড়িল । মৃত্যুঞ্জয় বারবার করিয়া এই বর্ণপক্সে পশ করিয়া ঘরময় ঘরিয়া ঘরিয়া লেড়াইতে লাগিল। ছোটো ছোটো বর্ণখণ্ড টানিয়া মেজের উপরে ফেলিতে লাগিল, কোলেব উপর তুলিতে লাগিল, একটার উপরে আর-একটা আঘাত করিয়া শব্দ করিতে লাগিল, সবাগের উপর বলাইয়া তাহার পশ লইতে লাগিল। অবশেষে শ্ৰান্ত হইয়া সোনার পাত বিছাইয়া তাহার উপর শয়ন করিয়া ঘুমাইয়া পড়িল । জাগিয়া উঠিয়া দেখিল,-চারি দিকে সোনা ঝকঝকা করিতেছে। সোনা ছাড়া আরকিছুই নাই। মৃত্যুঞ্জয় ভাবিতে লাগিল, পথিবীর উপরে হয়তো এতক্ষণে প্রভাত হইয়াছে, সমস্ত জীবজন্তু আনন্দে জাগিয়া উঠিয়াছে – তাহাদের বাড়িতে পাকুরের ধারের বাগান হইতে প্রভাতে যে একটি মিথ গন্ধ উঠিত তাহাই কলপনায় তাহার নাসিকায় যেন প্রবেশ করিতে লাগিল। সে যেন পাট চোখে দেখিতে পাইল, পাতিহসিগন্লি দলিতে দলিতে কলরব করিতে করিতে সকালবেলায় পাকুরের জলের মধ্যে আসিয়া পড়িতেছে, আর বাড়ির ঝি বামা কোমরে কাপড় জড়াইয়া উধের্মান্ধিত দক্ষিপ হস্তের উপর একরাশি পিতল-কাঁসার থালা বাটি লইয়া ঘাটে আনিয়া উপস্থিত করিতেছে। মৃত্যুঞ্জয় স্বারে আঘাত করিয়া ডাকিতে লাগিল, “ওগো সন্ন্যাসীঠাকুর, আছ কি।” বার খালিয়া গেল। সন্ন্যাসী কহিলেন, “কাঁ চাও।” মৃত্যুঞ্জয় কহিল, “আমি বাহিরে যাইতে চাই—কিন্তু সঙ্গে এই সোনার দটোএকটা পাতও কি লইয়া যাইতে পারিব না।" সন্ন্যাসী তাহার কোনো উত্তর না দিয়া নতন মশাল জনালাইলেন—পশ কমণ্ডল একটি রাখিলেন, আর উত্তরীয় হইতে কয়েক মাটি চিড়া মেজের উপর রাখিয়া বাহির হইয়া গেলেন। বার বন্ধ হইয়া গেল। মৃত্যুঞ্জয় পাংলা একটা সোনার পাত লইয়া তাহা দোমড়াইয়া খণ্ড খণ্ড করিয়া ভাঙিয়া ফেলিল। সেই খণ্ড সোনাগলোকে লইয়া ঘরের চারি দিকে লোষ্ট্রখণ্ডের মতো ছড়াইতে লাগিল। কখনো বা দাঁত দিয়া দংশন করিয়া সোনার পাতের উপর দাগ