পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পগরক্ষা tS& বলিয়া রাগ করিয়া নিজেকে আরও বেশি কস্ট দিতে লাগিল। বিশেষত সেই বছরেই বয়কটের কল্যাণে হঠাৎ তাঁতের কাপড়ের দর এবং আদর অত্যন্ত বাড়িয়া গেল । তাঁতিদের মধ্যে যাহারা অন্য কাজে ছিল তাহারাও প্রায় সকলে তাঁতে ফিরিল। নিয়তচঞ্চল মাকুগলো ইন্দরে-বাহনের মতো সিদ্ধিদাতা গণনায়ককে বাংলাদেশের তাতির ঘরে দিনরাত কাঁধে করিয়া দৌড়াইতে লাগিল। এখন এক মহত তাঁত কামাই পড়িলে বংশীর মন অস্থির হইয়া উঠে; এই সময়ে রসিক যদি তাহার সাহায্য করে তবে দুই বৎসরের কাজ ছয় মাসে আদায় হইতে পারে, কিন্তু সে আর ঘটিল না। কাজেই ভাঙা শরীর লইয়া বংশী একেবারে সাধ্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম করিতে লাগিল । রসিক প্রায় বাড়ির বাহিরে বাহিরেই কাটায়। কিন্তু, হঠাৎ একদিন যখন সন্ধ্যার সময় বংশীর হাত আর চলে না, পিঠের দাঁড়া যেন ফাটিয়া পড়িতেছে, কেবলই কাজের গোলমাল হইয়া যাইতেছে এবং তাহা সারিয়া লইতে ব্যথা সময় কাটিতেছে, এমন সময় শনিতে পাইল, সেই কিছুকালের উপেক্ষিত হামোনিয়ম ষন্ত্রে আবার লক্ষেী ঠুংরি বাজিতেছে। এমন দিন ছিল যখন কাজ করিতে করিতে রসিকের এই হামোনিয়ম বাজনা শুনিলে গবে ও আনন্দে বংশীর মন পলকিত হইয়া উঠিত ; আজ একেবারেই সেরাপ হইল না। সে তাঁত ফেলিয়া ঘরের আঙিনার কাছে আসিযা দেখিল একজন কোথাকার অপরিচিত লোককে রসিক বাজনা শনাইতেছে। ইহাতে তাহার জরতপত ক্লান্ত দেহ আরও জনলিয়া উঠিল । মুখে তাহার যাহা আসিল তাহাই বলিল রসিক উদ্ধত হইয়া জবাব করিল, “তোমার অন্নে যদি আমি ভাগ বসাই তবে আমি" ইত্যাদি ইত্যাদি। বংশী কহিল, “আর মিথ্যা বড়াই করিয়, কাজ নাই, তোমার সামথা যতদর ঢের দেখিযাছি । শুধ বাবদের নকলে বাজনা BBBBB BBBBB BBBB BB BB BS BB BB BBB BYS BB uB BBB পারিল না ; ঘরে মাদরে গিয়া শুইয়া পড়িল । রসিক যে হামোনিযম বাঞ্জাইয়া চিত্তবিনোদন করিবার জন্য সংগী জটে ইষা আনিয়াছিল তাহা নহে। থানাগড়ে ষে সাকাসের দল আসিয়াছিল রসিক সেই দলে চাকরির উমেদারি করিতে গিয়াছিল। সেই দলেরই একজনের কাছে নিজের ক্ষমতার পরিচয় দিবার জন্য তাহাকে যতগুলি গং জানে একে একে শনাইতে প্রবত্ত হইয়াছিল— এমন সময় সংগীতের মাঝখানে নিতান্ত অন্যরকম সরে আসিয়া পেপছিল । আজ পর্যন্ত বংশীর মুখ দিয়া এমন কঠিন কথা কখনো বাহির হয় নাই। নিজের বাক্যে সে নিজেই আশচয’ হইয়া গেল। তাহার মনে হইল, যেন তাহাকে অবলম্বন করিয়া আর-একজন কে এই নিঠর কথাগুলো বলিয়া গেল। এমনতরো মমাতিক ভৎসিনার পরে বংশীর পক্ষে আর তাহার সঞ্চয়ের টাকা রক্ষা করা সম্পভবপর নহে । যে টাকার জন্য হঠাৎ এমন অভাবনীয় কান্ডটা ঘটিতে পারিল সেই টাকার উপর বংশীর ভারি একটা রাগ হইল— তাহাতে আর তাহার কোনো সখ রহিল না। রসিক যে তাহার কত অাদরের সামগ্রী, এই কথা কেবলই তাহার মনের মধ্যে তোলপাড় করিতে লাগিল। যখন সে দাদা’ শব্দ উচ্চারণ করিতে পারিত না, যখন তাহার দর্যত হস্ত হইতে তাঁতের সন্তাগুলোকে রক্ষা করা এক বিষম ব্যাপার ছিল, যখন তাহার দাদা