পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やミ8 গল্পগুচ্ছ ছটিয়া চলিয়াছে—এই কথা ভাবিতে ভাবিতে রসিক একদষ্টে জলের স্রোতের দিকে চাহিয়া বসিয়া রহিল ; বোধ করি তাহার মনে হইতেছিল, দবাঁহ মানবজমিটাকে এই বন্ধনহীন নিশ্চিন্ত জলধারার সঙ্গে মিশাইয়া ফেলিতে পারিলেই একমাত্র শান্তি। এমন সময় একজন তরণে যবেক মাথা হইতে একটা বস্তা নামাইয়া তাহার পাশে বসিয়া কোঁচার প্রান্ত হইতে চি’ড়া খলিয়া লইয়া ভিজাইয়া খাইবার উদ্যোগ করিল। এই লোকটিকে দেখিয়া রসিকের কিছল নতন রকমের ঠেকিল। পায়ে জনতা নাই, ধতির উপর একটা জামা, মাথায় পাগড়ি পরা— দেখিবামাত্র পষ্ট মনে হয়, ভদ্রলোকের ছেলে— কিন্তু মনটে-মজরের মতো কেন যে সে এমন করিয়া বস্তা বহিয়া বেড়াইতেছে ইহা সে বঝিতে পারিল না। দুইজনের আলাপ হইতে দেরি হইল না এবং রসিক ভিজা চিড়িার যথোচিত পরিমাণে ভাগ লইল। এ ছেলেটি কলিকাতার কলেজের ছাত্র। ছাত্রেরা যে সবদেশী কাপড়ের দোকান খালিয়াছে তাহারই জন্য দেশি কাপড় সংগ্ৰহ করিতে সে এই গ্রামের হাটে আসিয়াছে। নাম সবোধ, জাতিতে ব্লাহরণ। তাহার কোনো সংকোচ নাই, বাধা নাই— সমস্তদিন হাটে ঘুরিয়া সন্ধ্যাবেলায় চিাড়া ভিজাইয়া খাইতেছে। " দেখিয়া নিজের সম্বন্ধে রসিকের ভাবি একটা লক্ষজা বোধ হইল। শ-ধ তাই নয়, তাহার মনে হইল যেন মুক্তি পাইলাম’। এমন কবিয়া খালি পায়ে মজুরের মতো যে মাথায় মোট বহিতে পারা যায় ইহা উপলব্ধি করিয়া জীবনযাত্রার ক্ষেত এক মহেতে তাহার সম্মুখে প্রসারিত হইয়া গেল। সে ভাবিতে লাগিল, “আজ তো আমার উপবাস করিবার কোনো দরকাবই ছিল না— আমি তো ইচ্ছা করিলেই মোট বহিতে পারিতাম।” সবোধ যখন মোট মাথায় লইতে গেল রসিক বাধা দিয়া বলিল, “মোট আমি বহিব।” সবোধ তাহাতে নারাজ হইলে রসিক কহিল, “আমি তাতির ছেলে, আমি BBBB BB BBBS BBBB DDBBBB DBBB BBS SBB BBS BB DBB রসিক এ কথা কখনোই মুখে উচ্চারণ করিতে পারিত না- তাহার বাধা কাটিয়া গেছে । সবোধ তো লাফাইয়া উঠিল; বলিল, “তুমি তাঁত ! আমি তো ততি খঙ্গিতেই বাহির হইয়াছি। তাঞ্জকাল তাহাদের দর এত বাড়িয়াছে যে, কেহই আমাদের তীতের স্কুলে শিক্ষকতা করিতে যাইতে রাজি হয় না।” রসিক তাঁতের স্কুলের শিক্ষক হইয়া কলিকাতায় আসিল । এত দিন পরে বাসা-খরচ বাদে সে সামানা কিছ জমাইতে পারিল, কিন্তু লাইসিক্লাচকের লক্ষা ভেদ করিতে এখনো অনেক বিলব আছে। আর, বধর পরমালার তো কথাই নাই – DBB DuBB BB BDD BB DDD DDD Du BDD DD নিবিয়া যাইবার উপক্রম হইল। কমিটির বাবরা যতক্ষণ কমিটি করিতে থাকেন অতি চমৎকার হয়, কিন্তু কাজ করিতে নামিলেই গণ্ডগোল বাধে : তাঁহারা নানা দিগদেশ হইতে নানা প্রকারের তাঁত আনাইয়া শেষকালে এমন একটা অপরাপ জঙ্গাল বনিয়া তুলিলেন যে, সমস্ত ব্যাপারটা লইয়া যে কোন আবঙ্গ'নাকুণ্ডে ফেলা যাইতে পারে তাহা কমিটির পর কমিটি করিয়াও স্থির করিতে পারিলেন না । রসিকের আর সহ্য হয় না। ঘরে ফিরিবার জন্য তাহার প্রাণ ব্যাকুল হইয়া