পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৈমন্তী 構 $82 একখানি সাদাসিধা মাখ, সাদাসিধা দটি চোখ, এবং সাদাসিধা একটি শাড়ি। কিন্তু, সমস্তটি লইয়া কী যে মহিমা সে আমি বলিতে পারি না। যেমন-তেমন একখানি চৌকিতে বসিয়া, পিছনে একখানা ডোরা-দাগ-কাটা শতরঞ্চ কোলানো, পাশে একটা টিপাইয়ের উপরে ফলদানিতে ফলের তোড়া। আর, গালিচার উপরে শাড়ির বাঁকা পাড়টির নীচে দুখানি খালি পা। পটের ছবিটির উপর আমার মনের সোনার কাঠি লাগিতেই সে আমার জীবনের মধ্যে জাগিয়া উঠিল। সেই কালো দটি চোখ আমার সমস্ত ভাবনার মাঝখানে কেমন করিয়া চাহিয়া রহিল। আর, সেই বাঁকা পাড়ের নিচেকার দরখানি খালি পা আমার হৃদয়কে আপন পদ্মাসন করিয়া লইল । পঞ্জিকার পাতা উলটাইতে থাকিল; দটো-তিনটা বিবাহের লগ্ন পিছাইরা যায়, *বশরের ছটি আর মেলে না। ও দিকে সামনে একটা অকাল চার-পাঁচটা মাস জড়িয়া আমার আইবড় বয়সের সীমানাটাকে উনিশ বছর হইতে অনর্থক বিশ বছরের দিকে ঠেলিয়া দিবার চক্ৰান্ত করিতেছে। বশরের এবং তাঁহার মানবের উপর রাগ হইতে লাগিল । যা হউক, অকালের ঠিক পাবলগ্নটাতে আসিয়া বিবাহের দিন ঠেকিল। সেদিনকার সানাইয়ের প্রত্যেক তানটি যে আমার মনে পড়িতেছে। সেদিনকার প্রত্যেক মহেতাটি আমি আমার সমস্ত চৈতন্য দিয়া পশ করিয়াছি। আমার সেই উনিশ বছরের বয়সটি আমার জীবনে অক্ষয় হইয়া থাক । বিবাহসভায় চারি দিকে হটগোল; তাহারই মাঝখানে কন্যার কোমল হাতখানি আমার হাতের উপর পড়িল । এমন আশ্চয* আর কী আছে। আমার মন বারবার করিয়া ৰলিতে লাগিল, “আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম।” কাহাকে পাইলাম। এ যে দলভ, এ যে মানবী, ইহার রহস্যের কি অন্ত আছে। আমার বশরের নাম গৌরীশংকর। যে হিমালয়ে বাস করিতেন সেই হিমালয়ের তিনি যেন মিতা। তাঁহার গাম্ভীষের শিখরদেশে একটি স্থির হাস্য শত্র হইয়া ছিল। আর, তাঁহার হৃদয়ের ভিতরটিতে স্নেহের যে-একটি প্রস্রবণ ছিল তাহার সন্ধান যাহারা জানিত তাহারা তাঁহাকে ছাড়িতে চাহিত না। কমক্ষেত্রে ফিরিবার পাবে আমার বশর আমাকে ডাকিয়া বলিলেন, “বাবা, আমার মেয়েটিকে আমি সতেরো বছর ধরিয়া জানি, আর তোমাকে এই কটি দিন মাত্র জানিলাম, তব তোমার হাতেই ও রহিল। যে ধন দিলাম, তাহার মল্যে যেন বঝিতে পার, ইহার বেশি আশীবাদ আর নাই।” 軸 তাঁহার বেহাই বেহান সকলেই তাঁহাকে বারবার করিয়া আশবাস দিয়া বলিলেন, “বেহাই, মনে কোনো চিন্তা রাখিয়ো না। তোমার মেয়েটি যেমন বাপকে ছাড়িয়া আসিয়াছে এখানে তেমনি বাপ মা উভয়কেই পাইল।” তাহার পরে শ্বশুরমশায় মেয়ের কাছে বিদায় লইবার বেলা হাসিলেন ; বলিলেন, "বাড়ি, চলিলাম। তোর একখানি মাত্র এই বাপ, আজ হইতে ইহার যদি কিছর খোওয়া बाम्न वा झुब्रि बाच्न या नष्प्ले श्झ आीश उाशग्न छमा भाग्नौ नइँ ।” মেয়ে বলিল, “তাই বই-কি। কোথাও একটা যদি লোকসান হয় তোমাকে তার ক্ষতিপরণ করিতে হইবে।”