পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆ6 ఫి গল্পগুচ্ছ তার পরে, বাবার একটা ধারণা ছিল, আমার বশর রাজার প্রধানমন্ত্রী-গোছের একটা-কিছল। খবর লইয়া জানিলেন, তিনি সেখানকার শিক্ষাবিভাগের অধ্যক্ষ। বাবা বলিলেন, অথাৎ ইস্কুলের হেডমাস্টার—সংসারে ভদ্র পদ যতগুলো আছে তাহার মধ্যে সব চেয়ে ওঁচা। বাবার বড়ো আশা ছিল, বশীর আজ বাদে কাল যখন কাজে অবসর লইবেন তখন আমিই রাজমন্ত্রী হইব। এমন সময় রাস-উপলক্ষে দেশের কুটাবরা আমাদের কলিকাতার বাড়িতে আসিয়া জমা হইলেন। কন্যাকে দেখিয়া তাঁহাদের মধ্যে একটা কানাকানি পড়িয়া গেল। কানাকানি ক্ৰমে অসফট হইতে সফট হইয়া উঠিল। দরে সম্পকের কোনো-এক দিদিমা বজিয়া উঠিলেন, “পোড়া কপাল আমার! নাতবউ ষে বয়সে আমাকেও হার মানাইল !" আর-এক দিদিমাশ্রেণীয়া বলিলেন, “আমাদেরই যদি হার না মানাইবে তবে অপ বাহির হইতে বউ আনিতে যাইবে কেন।” আমার মা খাব জোরের সহিত বলিয়া উঠিলেন, “ওমা, সে কী কথা । বউমার বয়স সবে এগারো বই তো নয়, এই আসছে ফাল্গনে বারোয় পা দেবে। খোট্রার দেশে ডালরাটি খাইয়া মানুষ, তাই অমন বাড়ীত হইয়া উঠিয়াছে।" দিদিমারা বলিলেন, “বাছা, এখনো চোখে এত কম তো দেখি না। কন্যাপক্ষ নিশ্চয়ই তোমাদের কাছে বয়স ভাঁড়াইয়াছে।” মা বলিলেন, “আমরা যে কুঠি দেখিলাম।” কথাটা সত্য। কিন্তু কোঠীতেই প্রমাণ আছে, মেয়ের বয়স সতেরো। প্রবীণারা বলিলেন, “কুঠিতে কি আর ফাঁকি চলে না।” এই লইয়া ঘোর তক, এমন-কি, বিবাদ হইয়া গেল। এমন সময়ে সেখানে হৈম আসিয়া উপস্থিত। কোনো-এক দিদিমা জিজ্ঞাসা করিলেন, “নাতবউ, তোমার বয়স কত বলো তো।” মা তাহাকে চোখ টিপিয়া ইশারা করিলেন। হৈম তাহার অর্থ ব্যকিল না; বলিল, “সতেরো ।” মা ব্যস্ত হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “তুমি জানো না।” হৈম কহিল, “আমি জানি, আমার বয়স সতেরো ।” দিদিমারা পরস্পর গা-টেপাটেপি করিলেন। আর মেয়ে বলে কখনো না' !” এই বলিয়া আর-একবার চোখ টিপিলেন। এবার হৈম ইশারার মানে ব্যকিল: বর আরও দঢ় করিয়া বলিল, “বাবা এমন কথা কখনোই বলিতে পারেন না।” মা গলা চড়াইয়া বলিলেন, “তুই আমাকে মিথ্যাবাদী বলিতে চাস ?” হৈম বলিল, “আমার বাবা তো কখনোই মিথ্যা বলেন না।” शैशव्र ऋद्ध भा यठई गालि मिरठ लागिटजन कथाएँीव्र कालौ ठठहे जफ़ाथैज्ञा इफ़ाईय़ा कात्रि मिट्क प्लानब्रा रणज।