পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হৈমন্তী も○○ মা রাগ করিয়া বাবার কাছে তাঁহার বধরে মঢ়েতা এবং ততোধিক একগয়েমির কথা বলিয়া দিলেন। বাবা হৈমকে ডাকিয়া বলিলেন, “আইবড় মেয়ের বয়স সতেরো, এটা কি খুব একটা গৌরবের কথা, তাই ঢাক পিটিয়া বেড়াইতে হইবে ? আমাদের এখানে এ-সৰ চলিবে না, বলিয়া রাখিতেছি।” হায় রে, তাঁহার বউমার প্রতি বাবার সেই মধমাখা পঞ্চম বর আজ একেবারে এমন বাজখাই খাদে নাবিল কেমন করিয়া। হৈম ব্যথিত হইয়া প্রশ্ন করিল, “কেহ যদি বয়স জিজ্ঞাসা করে কী বলিব ।” বাবা বলিলেন, “মিথ্যা বলিবার দরকার নাই, তুমি বলিয়ো, ‘আমি জানি না— আমার শাশুড়ি জানেন ।” # কেমন করিয়া মিথ্যা বলিতে না হয় সেই উপদেশ শনিয়া হৈম এমনভাবে করিয়া রহিল যে বাবা বঝিলেন, তাঁহার সদ্যপদেশটা একেবারে বাজে খরচ হইল। হৈমর দরগতিতে দুঃখ করিব কী, তাহার কাছে আমার মাথা হেট হইয়া গেল। সেদিন দেখিলাম, শরৎপ্রভাতের আকাশের মতো তাহার চোখের সেই সরল উদাস দটি একটা কী সংশয়ে লান হইয়া গেছে। ভীত হরিণীর মতো সে আমার মাখের দিকে চাহিল। ভাবিল, “আমি ইহাদিগকে চিনি না।’ সেদিন একখানা শৌখিন-বাঁধাই-করা ইংরাজি কবিতার বই তাহার জন্য কিনিয়া আনিয়াছিলাম। বইখানি সে হাতে করিয়া লইল এবং আস্তে আস্তে কোলের উপর রাখিয়া দিল, একবার খালিয়া দেখিল না। আমি তাহার হাতখানি তুলিয়া ধরিয়া বলিলাম, "হৈম, আমার উপর রাগ করিয়ো না । আমি তোমার সত্যে কখনো আঘাত করিব না। আমি যে তোমার সত্যের বাঁধনে বাঁধা ।” হৈম কিছ না বলিয়া একটুখানি হাসিল। সে হাসি বিধাতা যাহাকে দিয়াছেন তাহার কোনো কথা ললিবার দরকার নাই। পিতার আর্থিক উন্নতির পর হইতে দেবতার অনুগ্রহকে স্থায়ী করিবার জন্য নতন উৎসাহে আমাদের বাড়িতে পজাচনা চলিতেছে। এ-পর্যন্ত সে-সমস্ত ক্লিয়াকমে বাড়ির বধকে ডাক পড়ে নাই। নতন বধর প্রতি একদিন পজো সাজাইবার আদেশ হইল ; সে বলিল, “মা, বলিয়া দাও কী করিতে হইবে।” ইহাতে কাহারও মাথায় আকাশ ভাঙিয়া পড়িবার কথা নয়, কারণ সকলেরই জানা ছিল মাতৃহীন প্রবাসে কন্যা মানুষ। কিন্তু, কেবলমাত্র হৈমকে লজিত করাই এই আদেশের হেতু । সকলেই গালে হাত দিয়া বলিল, “ওমা, এ কী কাণ্ড ! এ কোন নাস্তিকের ঘরেব মেয়ে । এবার এ সংসার হইতে লক্ষয়ী ছাড়িল, আর দেরি নাই।” এই উপলক্ষে হৈমর বাপের উদ্দেশে যাহা-না-বলিবার তাহা বলা হইল। যখন হইতে কটা কথার হাওয়া দিয়াছে হৈম একেবারে চুপ করিয়া সমস্ত সহ্য করিয়াছে। এক দিনের জন্য কাহারও সামনে সে চোখের জলও ফেলে নাই। আজ তাহার বড়ো व८फ़ा मद्गरै छाथ ठामाईल्ला मिग्ना छल *क्लिरउ लागिल। एन ऐठेिन्ना माँक्लाईझा यजिज, “আপনারা জানেন সে দেশে আমার বাবাকে সকলে ঋষি বলে ?” ঋষি বলে! ভারি একটা হাসি পড়িয়া গেল। ইহার পরে তাহার পিতার উল্লেখ করিতে হইলে প্রায়ই বলা হইত তোমার ঋষিবাবা-এই মেয়েটির সকলের চেয়ে