পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●ልO8 গল্পগছে “মণি যেন আমার ঘরে আসবার জন্য দরজা ঠেলছিল— কোনোমতেই দরজা এতটুকুর বেশি ফাঁক হল না, সে বাইরে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগল, কিন্তু কিছতেই ঢাকতে পারল না। মণি চিরকাল আমার ঘরের বাইরেই দাঁড়িয়ে রইল। তাকে অনেক করে ডাকলম, কিন্তু এখানে তার জায়গা হল না।" মাসি কিছ না বলিয়া চুপ করিয়া রহিলেন। ভাবিলেন, যতীনের জন্য মিথ্যা দিয়া ষে একটুখানি সবগ রচিতেছিলাম সে আর টিকিল না। দুঃখ যখন আসে তাহাকে স্বীকার করাই ভালো— প্রবঞ্চনার স্বারা বিধাতার মার ঠেকাইবার চেষ্টা করা किछ्द नग्न ।' “মাসি, তোমার কাছে যে স্নেহ পেয়েছি সে আমার জন্মজন্মান্তরের পাথেয়, আমার সমস্ত জীবন ভরে নিয়ে চললাম। আর-জন্মে তুমি নিশ্চয় আমার মেয়ে হয়ে জন্মাবে, আমি তোমাকে বকে করে মানুষ করব।" "বলিস কী যতীন, আবার মেয়ে হয়ে জন্মাব ? নাহয়, তোরই কোলে ছেলে হয়েই জন্ম হবে—সেই কামনাই করা-না।” “না, না, ছেলে না। ছেলেবেলায় তুমি যেমন সন্দেরী ছিলে তেমনি অপরাপ সন্দেরী হয়েই তুমি আমার ঘরে আসবে। আমার মনে আছে, আমি তোমাকে কেমন করে সাজাব।” “আর বকিস নে যতীন, বকিস নে— একটা ঘামো।” “তোমার নাম দেব লক্ষয়ীরানী।" “ও তো একেলে নাম হল না।” "না, একেলে নাম না। মাসি, তুমি আমার সাবেক-কেলে— সেই সাবেক কাল নিয়েই তুমি আমার ঘরে এসো।" "তোর ঘরে আমি কন্যাদায়ের দুঃখ নিয়ে আসব, এ কামনা আমি তো করতে পারি নে।” “মাসি, তুমি আমাকে দব্যল মনে কর – আমাকে দুঃখ থেকে বাঁচাতে চাও ?” “বাছা, আমার যে মেয়েমানুষের মন, আমিই দাব’ল— সেইজন্যেই আমি বড়ো ভয়ে ভয়ে তোকে সকল দুঃখ থেকে চিরদিন বাঁচাতে চেয়েছি। কিন্তু, আমার সাধ্য কী আছে। কিছই করতে পারি নি।” “মাসি, এ জীবনের শিক্ষা আমি এ জীবনে খাটাবার সময় পেলাম না। কিন্তু, এ সমস্তই জমা রইল, আসছে বারে মানষে যে কী পারে তা আমি দেখাব। চিরটা দিন নিজের দিকে তাকিয়ে থাকা ষে কী ফাঁক তা আমি বঝেছি।” “বাই বল বাছা, তুমি নিজে কিছু নাও নি, পরকেই সব দিয়েছ।” “মাসি, একটা গব আমি করব, আমি সখের উপরে জবদন্তি করি নি— কোনোদিন এ কথা বলি নি, যেখানে আমার দাবি আছে সেখানে আমি জোর খাটাব। या नाई नि ठा काफ़ाकर्णाफ़ कॉंद्र नि । आभि cनई छिनिन कराइलएभ याद्र छेनरग्न কারও স্বত্ব নেই—সমস্ত জীবন হাতজোড় করে অপেক্ষাই করলাম; মিথ্যাকে চাই নি বলেই এতদিন এমন করে বসে থাকতে হল-এইবার সত্য হয়তো দয়া করবেন। ও কে ও—মাসি, ও কে।” “कई, zकछे ठा ना थलौन ।”