পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮔ8& গল্পগুচ্ছ তাঁর অধিকাংশ ব্যবহার জলেরই সঙ্গে, কারণ জলচর মৎস্যরা মসলমান-বংশীয় নয় এবং জলে পেয়াজ উৎপন্ন হয় না। তাঁর জীবনের সব প্রধান কাজ আপনার দেহকে গহকে কাপড়চোপড় হাঁড়িকুড়ি খাটপালও বাসনকোসনকে শোধন এবং মাজন করা। তাঁর সমস্ত কৃত্য সমাপন করতে বেলা আড়াইটে হয়ে যায়। তাঁর মেয়েটিকে তিনি স্বহস্তে সবাংশে এমনি পরিশুদ্ধ করে তুলেছেন যে, তার নিজের মত বা নিজের ইচ্ছা বলে কোনো উৎপাত ছিল না। কোনো ব্যবস্থায় যত অসুবিধাই হোক, সেটা পালন করা তার পক্ষে সহজ হয় যদি তার কোনো সংগত কারণ তাকে বুঝিয়ে না দেওয়া যায়। সে খাবার সময় ভালো কাপড় পরে না পাছে সকড়ি হয়; সে ছায়া সম্বন্ধেও বিচার করতে শিখেছে। সে যেমন পালকির ভিতরে বসেই গঙ্গাস্নান করে, তেমনি অষ্টাদশ পরাণের মধ্যে আবত থেকে সংসারে চলে ফেরে। বিধি-বিধানের পরে আমারও মায়ের যথেষ্ট শ্রদ্ধা ছিল, কিন্তু তাঁর চেয়ে আরও বেশি শ্রদ্ধা যে আর-কারও থাকবে এবং তাই নিয়ে সে মনে মনে গমের করবে এটা তিনি সইতে পারতেন না। এইজন্যে আমি যখন তাঁকে বললাম “মা, এ মেয়ের যোগ্যপার আমি নই”, তিনি হেসে বললেন, “না, কলিযুগে তেমন পাত্র মেলা ভার!” আমি বললাম, “তা হলে আমি বিদায় নিই।” মা বললেন, “সে কী সন, তোর পছন্দ হল না ? কেন, মেয়েটিকে তো দেখতে ভালো।” আমি বললাম, “মা, সী তো কেবল চেয়ে চেয়ে দেখবার জন্যে নয়, তার বৃদ্ধি থাকাও চাই।” মা বললেন, “শোনো একবার? এরই মধ্যে তুই তার কম বৃদ্ধির পরিচয় কী পেলি - আমি বললাম, “বন্ধি থাকলে মানব দিনরাত এই-সব অনৰ্থক অকাজের মধ্যে বাঁচতেই পারে না। হাঁপিয়ে মরে যায়।” মায়ের মাখ শুকিয়ে গেল। তিনি জানেন, এই বিবাহ সম্বন্ধে বাবা অপর পক্ষে প্রায় পাকা কথা দিয়েছেন। তিনি আরও জানেন যে, বাবা এটা প্রায় ভুলে যান যে, অন্য মানুষেরও ইচ্ছে বলে একটা বালাই থাকতে পারে। বস্তুত, বাবা যদি অত্যন্ত বেশি রাগারগি জবদমিত না করতেন তা হলে হয়তো কালক্রমে ঐ পৌরাণিক পর্তুলকে বিবাহ করে আমিও একদিন প্রবল রোখে সনান-আহ্নিক এবং ব্ৰত-উপবাস করতে করতে গঙ্গাতীরে সম্পগতি লাভ করতে পারতুম। অথাৎ, মায়ের উপর যদি এই বিবাহ দেবার ভার থাকত তা হলে তিনি সময় নিয়ে, অতি ধীর মঙ্গদ সুযোগে ক্ষণে ক্ষণে কানে মন্ম দিয়ে, ক্ষণে ক্ষণে আশ্রপোত করে, কাজ উদ্ধার করে নিতে পারতেন। বাবা যখন কেবলই তজন গজন করতে লাগলেন আমি তাঁকে মরিয়া হয়ে বললাম, ছেলেবেলা বিবাহের বেলাতেই কি আত্মনিভার চলবে না। কলেজে লজিকে পাস করবার বেলার ছাড়া নায়শাঙ্গের জোরে কেউ কোনোদিন সফলতা লাভ করেছে, এ আমি দেখি নি। সংগত ব্যক্তি কুতকের আগমনে কখনো জলের মতো কাজ করে না, বরঞ্চ তেলের মতোই কাজ করে থাকে। বাবা ভেবে রেখেছেন, তিনি অন্য পক্ষকে কথা দিয়েছেন, क्विारश्ब्र खेन्निष्ठा नन्वरन्थ aब्र फरग्न वटफ़ा धमाण आग्न-ाँकष्टदई नहै। अधष्ठ चधि बनि