পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামঞ্জর গল্প Φί & S ধুমধাম করবে বলে কোমর বেধেছে। ঘরে ঢুকেই সেবানিযন্ত মেয়েটিকে দেখেই অমিয়ার মুখের ভাব অত্যন্ত শক্ত হয়ে উঠল। তার দেশবিশ্রত দাদা ঘদি একটা ইশারামার করত তা হলে তার সেবা করবার লোকের কি অভাব ছিল। এত মানুষ থাকতে শেষকালে কি এই— থাকতে পারলে না। বললে, "দাদা, হরিমতিকে কি তুমি—” প্রশ্নটা শেষ করতে না দিয়ে ফস করে বলে ফেললেম, “পারে বড়ো ব্যথা করছিল।" পলিস-সাজনের হাতে একটি মেয়ের অপমান বাঁচাতে গিয়ে জেলখানায় গিয়েছিলেন । আজ এক মেয়ের আক্লোশ থেকে আর-এক মেয়েকে আচ্ছাদন করবার জন্যে মিথ্যে কথা বলে ফেললুম। এবারেও শাসিত শব্যে হল । অমিয়া আমার পায়ের কাছে বসল। হরিমতি তাকে কুঠিত মাদকেন্ঠে কী-একটা বললে, সে ঈষৎ মুখ বকিয়ে জবাবই করলে না । হরিমতি আস্তে আস্তে উঠে চলে গেল। তখন অমিয়া পড়ল আমার পা নিয়ে। বিপদ ঘটল আমার । কেমন করে বলি দরকার নেই, আমার ভালোই লাগে না । এতদিন পর্যন্ত নিজের পায়ের সম্বন্ধে যে স্বয়ত্তশাসন সম্পণে বক্তায় রেখেছিলেম, সে আর টেকে না বুঝি ! ধড়ফড় করে উঠে বসে বললেম, “অমিয়া, দে তোর লেখাটা, ওটা তজমা করে ফেলি।” “এখন থাক-না দাদা। তোমার পা কামড়াচ্ছে, একটা টিপে দিই-না ?” না, পা কেন কামড়াবে। হা হাঁ, একটা কামড়াচ্ছে বটে। তা, দেখ আমি, তোর ইফোঁটার আইডিয়াটা ভারি চমৎকার। কী ক'রে তোর মাথায় এল তাই ভাবি ৷ লিখেছিস বতমান যুগে ভাইয়ের ললাট অতি বিরাট, সমস্ত বাংলাদেশে iবস্তৃত, কোনো একটিমাত্র ঘরে তার পথান হয় না— এটা খুব-একটা বড়ো কথা । ra, aifa izio offi : With the advent of the present age, Brother's blow, waiting for its auspicious anointment from thc sisters of Bengal, has grown immenscly beyond the mal rowness of domestic privacy, beyond the boundaries of the indiv idual homo । একটা আইডিয়ার মতো আইডিয়া পেলে কলম পাগল হয়ে ছোটে ।” অমিয়ার পা টেপার ঝোঁক একেবারে থেমে গেল। মাথাটা ধরে ছিল, লিখতে একটাও গা লাগছিল না— তব এপেরিনের বড়ি গিলে বসে গেলেম। পরদিন দপেরেবেলায় আমার জলধর যখন দিবানিদ্রায় রত, দেউড়িতে দরোয়ানজি তুলসীদাসের রামায়ণ পড়ছে, গলির মোড় থেকে ভালক-নাচওয়ালার ডুগডুগি শোনা যাচ্ছে, বিশ্রামহারা অমিয়া যখন ষাগলক্ষীর কতব্যপালনে বেরিয়েছে, এমন সময় দরজার বাইরে নিজন বারান্দায় একটি ভীর ছায়া দেখা দিলে। শেষকালে বিধা করতে করতে কখন হঠাৎ এক সময়ে সেই মেয়েটি একটা হাতপাখা নিয়ে আমার মাথার কাছে বসে বাতাস করতে লাগল। বোঝা গেল, কাল অমিয়ার মুখের ভাবখানা দেখে পায়ে হাত দিতে আজ আর সাহস হল না। এতক্ষণে নববঙ্গের ভাইফোঁটাপ্রচারের মিটিং বসেছে। অমিয়া বাস্ত থাকবে। তাই ভাবছিলাম ভরসা করে বলে ट्रे نگا نتی s o: