পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামঞ্জর গল্প aఆరి আমি হেসে বললেম, “পজোর বাজারে চলবে না কি।” “একেবারেই না। এটা তো অত্যন্তই হালকা-রকমের জিনিস।” সম্পাদকের দোষ নেই। জেলবাসের পর থেকে আমার আশ্রজেল অন্তঃশীলা বইছে। লোকে বাইরে থেকে আমাকে খাব হালকা প্রকৃতির লোক মনে করে। গল্পটা আমাকে ফেরত দিয়ে গেল । * ঠিক সেই মহেনতে এল অনিল । বললে, “মুখে বলতে পারব না, এই চিঠিটা পড়ন ।” চিঠিতে অমিয়াকে, তার দেবীকে, যুগলক্ষয়ীকে বিবাহ করবার ইচ্ছে জানিয়েছে; এ কথাও বলেছে, অমিয়ার অসম্মতি নেই। তখন অমিয়ার জন্মবৃত্তান্ত তাকে বলতে হল। সহজে বলতেম না ; কিন্তু জানতেম, হীনবণের পরে অনিল শ্রদ্ধাপণ করপো প্রকাশ করে থাকে। আমি তাকে বললেম, “পবপরীষের কলক জন্মের বারাই পখলিত হয়ে যায়, এ তো তোমরা অমিয়ার জীবনেই পন্ট দেখতে পাচ্ছ । সে পক্ষম, তাতে পকের চিহ্ন নেই।” নববঙ্গের ভাইফোঁটার সভা তার পরে আর জমল না। ফোঁটা রয়েছে তৈরি, কপাল মেরেছে দৌড়। আর শুনেছি, অনিল কলকাতা ছেড়ে কুমিল্লায় বরাজ-প্রচারের কীএকটা কাজ নিয়েছে । অমিয়া কলেজে ভতি হবার উদ্যোগে আছে। ইতিমধ্যে পিসিমা তীর্থ থেকে ফিরে আসার পর শশ্রেষার সাত-পাক বেড়ি থেকে আমার পা দটো খালাস পেয়েছে। আগ্রহায়ণ ১৩৩২