পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a 98 গল্পগুচ্ছ সংস্কার চিত্রগুপ্ত এমন অনেক পাপের হিসাব বড়ো অক্ষরে তাঁর খাতায় জমা করেন যা থাকে পাপীর নিজের অগোচরে । তেমনি এমন পাপও ঘটে যাকে আমিই চিনি পাপ বলে, আর কেউ না । যেটার কথা লিখতে বসেছি সেটা সেই জাতের । চিত্রগুপ্তের কাছে জবাবদিহি করবার পবে আগে-ভাগে কবলে কবলে অপবাধের মাত্রাট হাইকা হবে। ব্যাপারটা ঘটেছিল কাল শনিবার দিনে। সেদিন আমাদের পাড়ায় জৈনদের মহলে কী-একটা পরব ছিল । আমার সত্ৰী কলিকাকে নিয়ে মোটরে কবে বেরিয়েছিলম - চায়ের নিমন্ত্রণ ছিল বন্ধ নয়নমোহনের বাড়িতে । সত্রীর কলিকা নামটি শবশর-দত্ত, আমি ওর জন্য দায়ী নই। নামের উপয,৫ তাঁর সবভব নয়, মতামত খুবই পরিস্ফুট। বড়োবাজাবে বিলিতি কাপড়ের বিপক্ষে যখন পিকেট করতে বেরিয়েছিলেন, তখন দলের লোক ভক্তি করে তাঁর নাম দিয়েছিল ধ্ৰুবৱতা। আমার নাম গিরীন্দ্র দলের লোক আমাকে আমার পত্নীৰ পতি ব’ল: BBS BBBB BBBBB sBB DBB BBB BBS BBBBB BBB BBBg ggSJJJ BB BBBB BBBB BBBB BBS BB gg SBB BBBSBBB S BB CTgS আদায়ের সময় । BuBB BBB BBBBB BBBBBB BBB BBSBBB mBB BBSBBS BBSBBS DS00 সঙ্গে জলধারার মতো। আমার প্রকৃতি অত্যন্ত ঢিলে, কিছুই বেশি করে চেপে BB BB BBB BBB BBB BBB BB B BBB B BBBBB BBB S আমাদের এই বৈষম্যের গুণেই সংসারে শান্তিরক্ষা হয় । কেবল একটা জায়গায় আমাদের মধ্যে যে অসামঞ্জস্য ঘটেছে তার অব মিটমাট BB BBB BS BBBB BBBBS BB BBBBB BBBB BS BBB BBBBB BBB BB BBBB BBDS DBBB BBB BBBB BBBSBSBBBB BBB BBBB দিয়েছি, তাঁদের নিদিষ্ট বাহ্য লক্ষণের সংেগ মেলে না বলে কিছুতেই তাকে দেশভালোবাসা বলে স্বীকার করাতে পারি নে । ছেলেবেলা থেকে আমি গ্রন্থবিলাসী, নতুন বইয়ের খবর পেলেই কিনে আনি । আমার শত্ররাও কবলে করবে যে, সে বই পড়েও থাকি ; বন্ধুরা খুবই জ্ঞানেন যে, পড়ে তা নিয়ে তক-বিতক করতেও ছাড়ি নে – সেই আলোচনার চোটে বন্ধরা পাশ কাটিয়ে চলতে অবশেষে একটিমাত্র মানুষে এসে ঠেকেহে, বনবিহারী, যাকে নিয়ে আমি রবিবারে আসর জমাই । আমি তার নাম দিয়েছি কোণ-বিহারী । ছাদে বসে তার সঙ্গে আলাপ করতে করতে এক-একদিন রাত্তির দটো হয়ে যায়। আমরা যখন এই নেশায় ভোর তখন আমাদের পক্ষে সদিন ছিল না। তখনকার পলিস কারও বাড়িতে গীতা দেখলেই সিডিশনের প্রমাণ পেত। তখনকার দেশভক্ত যদি দেখত কারও ঘর বিলিতি বইয়ের পাতা কাটা তবে তাকে জানত দেশবিদ্রোহী। আমাকে ওরা শ্যামবণের প্রলেপ দেওয়া শেবত-দ্বৈপায়ন ব'লেই গণ্য করত। সরস্বতীর বর্ণ সাদা বলেই সেদিন দেশভক্তদের কাছ থেকে তাঁর পাঞ্জা মেলা শক্ত হয়েছিল। যে সরোবরে তাঁর শেবতপদ্ম ফোটে সেই সরোবরের জলে দেশের কপাল-পোড়ানো আগন নেবে