পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d fयकद्र ' , 气气● নদীর ঢেউগুলো মকরের পাল, হী করে নেীকোটাকে গিলতে চলেছে এমনিতরো ভাব; আকাশের মেঘগলোও যেন উপর থেকে চাদর উড়িয়ে উৎসাহ দিচ্ছে বলে বোধ হচ্ছে—কিন্তু, মকরগলো সবসাধারণের মকর নয়, আর মেঘগলোকে ‘ধমজ্যোতিঃসলিলমরতাং সন্নিবেশঃ' বললে অত্যুক্তি করা হবে। এ কথাও সত্যের অনুরোধে বলা উচিত যে, এইরকমের নৌকো যদি গড়া হয় তা হলে ইনসয়োরেন্স আপিস কিছতেই তার দায়িত্ব নিতে রাজি হবে না। চলল রচনা, আকাশের চিত্রীও যা-খুশি তাই করছেন আর ঘরের মধ্যে ঐ মস্ত-চোখ-মেলা ছেলেটিও তথৈবচ। এদের খেয়াল ছিল না যে, দরজা খোলা। বড়োবাব এলেন। গজন করে উঠলেন, “কী হচ্ছে রে!” ছেলেটার বক কোপে উঠল, মাখ হল কাসে। স্পষ্ট বকতে পারলেন, পরীক্ষায় চুনিলালের ইতিহাসে তারিখ ভুল হচ্ছে তার কারণটা কোথায়। ইতিমধ্যে চুনিলাল ছবিটাকে তার জামার মধ্যে লকোবার ব্যথ প্রয়াস করাতে অপরাধ আরও প্রকাশমান হয়ে উঠল। টেনে নিয়ে গোবিন্দ যা দেখলেন তাতে তিনি আরও অবাক—এটা ব্যাপারখানা কী। এর চেয়ে যে ইতিহাসের তারিখ ভুলও ভালো। ছবিটা কুটিকুটি করে ছিড়ে ফেললেন। চুনিলাল ফাপিয়ে ফ:পিয়ে কে’দে উঠল। ای সত্যবতী একাদশীর দিন প্রায় ঠাকুরঘরেই কাটাতেন। সেইখান থেকে ছেলের কান্না শনে ছটে এলেন। ছবির ছিন্ন খন্ডগুলো মেঝের উপর লীটোচ্ছে আর মেকের উপর লটোচ্ছে চুনিলাল। গোবিন্দ তখন ইতিহাসের তারিখ-ভুলের আদি কারণগুলো সংগ্ৰহ করছিলেন অপসারণের অভিপ্রায়ে । সত্যবতী এতদিন কখনো গোবিন্দর কোনো ব্যবহারে কোনো কথা বলেন নি। এরই পরে তাঁর স্বামী নিভার স্থাপন করেছেন, এই স্মরণ করেই তিনি নিঃশব্দে সব সহ্য করেছেন। আজ তিনি আশ্রতে আদ্র, ক্ৰোধে কম্পিত কণ্ঠে বললেন, “কেন তুমি চুনির ছবি ছিড়ে ফেললে।” } গোবিন্দ বললেন, “পড়াশুনো করবে না ? আখেরে ওর হবে কী।” সত্যবতী বললেন, “আখেরে ও যদি পথের ভিক্ষক হয় সেও ভালো। কিন্তু, কোনোদিন তোমার মতো যেন না হয়। ভগবান ওকে যে সম্পদ দিয়েছেন তারই গৌরব যেন তোমার পয়সার গবের চেয়ে বেশি হয়, এই ওর প্রতি আমার, মায়ের আশীবাদ ।” গোবিন্দ বললেন, “আমার দায়িত্ব আমি ছাড়তে পারব না, এ চলবে না কিছুতেই। আমি কালই ওকে বোর্ডিং-স্কুলে পাঠিয়ে দেব— নইলে তুমি ওর সবনাশ করবে।” বড়োবাব আপিসে গেলেন। ঘনবষ্টি নামল, রাস্তা জলে ভেসে যাচ্ছে। সত্যবতী চুনির হাত ধরে বললেন, “চল, বাবা।” চুনি বললে, “কোথায় যাবে, মা।” “এখান থেকে বেরিয়ে যাই ।” ੋਂ { } রঙ্গলালের দরজায় এক-হাঁট জল। সত্যবতী চুনিলালকে নিয়ে তার স্বরে ঢকেলেন; বললেন, “বাবা, তুমি নাও এর ভার। বাঁচাও একে পয়সার সাধনা থেকে।” কাতিক ১৩৩৬ ‘s