পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তির উপায় ● নিজের অথবা পরের সাঁকে দেখিয়া এত প্রেম তাহার চক্ষে ইতিপবে কখনো প্রকাশ পায় নাই। মনে হইল, মতিমতী মন্তি স্বয়ং আসিয়া উপস্থিত। আর-একটি লোক মুখের উপর শাল মুড়ি দিয়া অন্তরাল হইতে দেখিতেছিল। তাহার নাম মাখনলাল। একটি অপরিচিত নিরীহ ব্যক্তিকে নিজপদে অভিষিক্ত দেখিয়া সে এতক্ষণ পরম সখানভব করিতেছিল; অবশেষে হৈমবতীকে উপপিথত দেখিয়া বঝিতে পারিল, উক্ত নিরপরাধ ব্যন্তি তাহার নিজের ভগ্নীপতি ; তখন দয়াপরতলা হইয়া ঘরে ঢকিয়া বলিল, “না, আপনার লোককে এমন বিপদে ফেলা মহাপাতক।” দুই সন্ত্রীর প্রতি অঙ্গলি নির্দেশ করিয়া কহিল, “এ আমারই দড়ি, আমারই কলসী।" মাখনলালের এই অসাধারণ মহত্ত্ব ও বীরত্বে পাড়ার লোক আশ্চর্য হইয়া গেল । চৈত্র ১২১৮