পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A अवांछछि S ዓ বুলিষ্ঠ ছিলেন, এবং তঁদের ঘরের মেয়েদের রূপের খ্যাতি দেশময় ছড়িয়ে পড়েছিল। এই সব কারণে মানুষকে মানুষ জ্ঞান করা এদের পক্ষে 4कद्भकभ अनgद शश उलैंछिल। এ দেশে ইংরেজ আসবার পূর্বেই এ পরিবারের ভগ্নদশা উপস্থিত হয়েছিল, তারপর কোম্পানির আমলে এদের সর্বনাশ হয়। এদের বংশবৃদ্ধির সঙ্গে সম্পত্তি ভাগ হওয়ার দরুণ যে-সকল সরিক নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল, ক্ৰমে তাদের বংশ লোপ পেতে আরম্ভ হল ; কেননা নিজের চেষ্টায়, নিজের পরিশ্রমে অর্থেপাৰ্জন করাটা এদের মতে অতি হেয় কাৰ্য বলে গণ্য ছিল। তারপর সরিকানা বিবাদ । রায় পরিবার ছিল শাক্ত,-এত ঘোর শাক্ত যে, রুদ্রপুরের ছেলে বুড়োতে মদ্যপান করত। এমন কি, এ বংশের মেয়েরাও তাতে কোন আপত্তি করত না, কেননা তাদের বিশ্বাস ছিল মদ্যপান করা একটি পুরুষালি কাজ। সন্ধ্যার সময় কুলদেবতা সিংহবাহিনীর দর্শনের পর বাবুরা যখন বৈঠকখানায় বসে মদ্যপানে রত হতেন, তখন সেই সকল গৌরবর্ণ প্ৰকাণ্ড পুরুষদের কপালে রক্তচন্দনের ফোঁটা আর জবাফুলের মত দুষ্ট চোখ, এই তিনে মিলে সাক্ষাৎ মহাদেবের রোষকষায়িত ত্ৰিনেত্রের মত দেখাত। এই সময়ে পৃথিবীতে এমন দুঃসাহসের কার্য নেই, যা তাদের দ্বারা না হত। তঁরা লাঠিয়ালদের এ-সরিকের ধানের গোলা লুঠে আনতে, ও-সিরিকের প্রজার বৌঝিকে বে-চজৎ করতে হুকুম দিতেন । ফলে রক্তারক্তি কাণ্ড হত। এই জ্ঞাতি-শক্রিতার দরুণ তঁরা উৎসন্নের পথে বহুদূর অগ্রসর হয়েছিলেন। তারপর এদের বিষয়সম্পত্তি যা অবশিষ্ট ছিল, তা দশশালা বন্দোবস্তের প্রসাদে হস্তান্তরিত হয়ে গেল। কিস্তির শেষ তারিখে সদর খাজনা কোম্পানির মালখানায় দাখিল না করলে লক্ষী যে চিরদিনের মত গৃহত্যাগ করবেন, এ জ্ঞান এদের মনে কখনও জন্মাল না। পূর্ব আমলে নবাব-সরকারে নিয়মিত শালিয়ানা মালখাজনা দাখিল করবার অভ্যাস তাদের ছিল না। এই অনভ্যাসবশত কোম্পানির প্রাপ্য রাজস্ব এরা সময়মত দিয়ে উঠতে পারতেন না। কাজেই এদের অধিকাংশ সম্পত্তি খাজনার দায়ে গিয়েছিল। সেই সঙ্গে &