পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাস-থতি আমরা ঘুরিতে ঘুরিতে এমনি একটি যুগলমূর্তির কাছে গিয়৷ পড়িয়াছিলাম । বোধ হইল তাহার৷ নবপরিণীত, পরস্পরের দ্বারা। এমনি আবিষ্ট যে অনুচর কুকুরটি প্রভৃদম্পতির সোগাগের মধা তটতে নিজের অতি তুচ্ছ অংশটুকু দাবী করিবার অবকাশমাত্র পাইতেছে না পুরুষটি পুরুষ বটে। তাহার শরীরগঠনে প্রকৃতির রূপণতামাত্রই চিল না । দৈর্ঘ্যপ্রস্থ বক্ষ বাহু রক্তমাংস অন্তি ও পেশী সতান্ত তাধিক। আর তাহার সঙ্গিনীটিতে শরীরাংশ একান্ত কম করিয়া তাহাকে কেবল নালে লালে শুভে, কেবল বর্ণে এবং গঠনে, ভাবে এবং ভঙ্গাতে, কেবল চলা এবং ফেরায় গড়িয়া তোল৷ হইয়াছে । তাহার গ্রীবার ডোলটুকু, কপোলের টেলটুকু, চিবুকের গোলটুকু, কর্ণরেখার আতি সুকুমার। আবর্ত নুটুকু, তাহার মুখ শ্রীর যেখানে সরল রেখা অতি ধীরে বক্রতায় এবং বক্ররেখা অতি যত্নে গোলত্বে পরিণত হইয়াছে সেই রেখাভাঙ্গর মধ্যে প্রকৃতির একটি উদ্যুসিত বিস্ময় যেন সম্পূর্ণ অবাক হইয়া আচে । সামাদেরও উচিত চিল প্রকৃতির সেই পথ স্বলম্বন করা । পুরুষটির প্রতি কিঞ্চিৎ লক্ষ। রাখিলেই তাহার সঙ্গিনার প্রতি বিস্ময়োস তাপনি। নিৰ্বাক তয়৷ আসে, কিন্তু আমাদের অভ্যাস খারাপ হইয়াছিল,মুহূত মধো বলিরা উঠিলাম, "বাঃ দিব্য দেখিতে ! দেখিলাম দ্রুত লজ্জায় । ক্যাটির শুভ ললাট অরুণবণ হইয়া উঠিল, চকিতের মধে। একবার আমার দিকে ত্রস্ত বিস্মিত মেত্রপাত করিয়াই আয়ত নেত্রদুটি সে। অন্যদিকে ফিরাইয়া লইল । আমরাও এ সম্বন্ধে দ্বিতীয় চিন্তা না করিয়া৷ মৃঢ় পদচারণায় হাওয়া খাইতে লাগিলাম । এমন সময় পেট ভরিয়া হাওয়া খাইবার মাসয় বাঘাত সম্ভাবনা দেগা গেল । কিয়দ্দ,য়ে গিয়৷ সেই দম্পতি-যুগলের মধ্যে একটা কি কপাৰাত। তইল : মেয়েটি সেইখানে দাড়ায়৷ রহিল । ; তাভার পরিমিত স্বামীটি প্রকাণ্ড ক্ষুদ্ধ বৃষভের মত মাথা নীচু করিয়া গাৰ্য করিয়া আমার দিকে অগ্রসর হইতে লাগিল । তাহার তপ্ত অঙ্গারের মত মুখ দেখিয়া৷ আমার বন্ধু সহসা নিকটস্থ তরুলতার মধ্যে কোন এক জায়গায় দুর্লভ হইয়া উঠিলেন।