পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড়বাবুর বড়দিন a জীবন যার দিনগুলো কলে-তৈরী জিনিসের মত, একটি ঠিক আর একটির মত। বৈচিত্ৰ্য না থাকলেও, বড়বাবুর জীবন যে নিরানন্দ ছিল, তা নয়। তার গৃহের কৌটায় এমন একটি অমূল্য রত্ন ছিল, যার উপর তাঁর হৃদয় DB BBBD DBLSDD DDDBSS SDBB D DD BB DBDDDSS DBB B তার নাম রেখেছিলেন পটেশ্বরী। এ নামের সার্থকতা সম্বন্ধে তার পিতৃকুলের তার মাতৃকুলের কেউ কখন সন্দেহ প্ৰকাশ করেননি ; র্তারা সকলেই একবাক্যে বলতেন, এ হেন রূপ পটের ছবিতেষ্ট দেখা যায়, রক্তমাংসের শরীরে দেখা যায় না, এমন কি চাকর-দাসীরাও পটেশ্বরীকে আরমানি বিবির সঙ্গে তুলনা করত। বড়বাবুর তাদৃশ সৌন্দর্যবোধ না থাকলেও, তঁর স্ত্রী যে সুন্দরীSumitaBot (আলাপ)শুধু সুন্দরী নয়, অসাধারণ সুন্দরী,-“এ বোধ তার যথেষ্ট ছিল। তঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অবশ্য র্তার স্ত্রীর রূপবর্ণনা করতে পারতেন না, কেননা বড়বাবু আর যাই হন,-কবিও নন, চিত্রকরও নন। তা ছাড়া বড়বাবু তার স্ত্রীকে কখনও ভাল করে খুঁটিয়ে দেখেননি। একটি প্রাকৃত কবি বলেছেন যে, তার প্রিয়ার সমগ্ররূপ কেউ কখনও দেখতে পায়নি ; কেননা যার চোখ তার যে অঙ্গে প্রথম পড়েছে, সেখান থেকে তার চোখ আর উঠতে পারেনি। সম্ভবত ঐ কারণে বড়বাবুর মুগ্ধনেত্ৰ পটেশ্বরীর পায়ের নখ থেকে মাথার চুল পর্যন্ত কখনও আয়ত্ত্ব, করতে পারেনি। বড়বাবু জানতেন যে, তার স্ত্রীর গায়ের রঙ কঁচা সোণার মত, আর তার চোখদুটি সাত রাজার ধন কালে মাণিকের মত। এই রূপের অলৌকিক আলোতেই তঁর সমস্ত নয়ন মন পূর্ণ করে রেখেছিল। বড়বাবুর বিশ্বাস ছিল যে, পূৰ্ব্বজন্মের সুরুতির ফলেই তিনি এহেন স্ত্ররত্ন লাভ করেছেন। এই শাপভ্রষ্ট দেবকীন্তা যে পথ ভুলে তার হাতে এসে পড়েছে এবং তঁর নিজস্ব সম্পত্তি হয়েছে, এ মনে করে তার আনন্দের अझ अवधि ष्ठित न ! কিন্তু মানুষের যু অত্যন্ত সুখের কারণ, প্রায়ই তাই তার নিতান্ত অসুখের কারণ হয়ে ওঠে। এ স্ত্রী নিয়ে বড়বাবুর মনে সুখ থাকলেও,