পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৬

και και ο *ाध्नम९भ्रंश् তার সন্দেহ যে অকারণ, এ জ্ঞান অন্তত দিনে একবার করেও তার মনে উদয় হত এবং তখন তীর মন কোজাগর পূর্ণিমার রাতের মত প্ৰসন্ন ও প্ৰফুল্ল হয়ে উঠত। বড়বাবুর মনে শুধু দুটি ভােব প্রবল হয়ে উঠেছিল, স্ত্রীর প্রতি অনুরাগ, আর ব্ৰাহ্মসমাজের প্রতি রাগ। ব্ৰাহ্মধর্মের প্রতি অবশ্য র্তার কোনরূপ বিদ্বেষ ছিল না, কেননা ধর্ম নিয়ে কখনও মিছে মাথা বকাননি। দেবতা এক কি বহু, ঈশ্বর আছেন কি নেই, যদি থাকেন, তাহলে তিনি সাকার কি নিরাকার, ব্ৰহ্ম সগুণ কি নিগুণ, দেহাতিরিক্ত আত্মা নামক কোনও পদাৰ্থ আছে কিনা, থাকলেও তার স্বরূপ কি,-এ সকল সমস্যা তার মনকে কখনও ব্যতিব্যস্ত করেনি, তার নিদ্রার এক রাত্তিরের জন্যও ব্যাঘাত ঘটায়নি। তিনি জানতেন যে, বিশ্বের হিসাবের খতিয়ান করবার জন্য তিনি জন্মগ্রহণ করেনি। তবে এর থেকে অনুমান করা অসঙ্গত হবে যে, তিনি নাস্তিক ছিলেন। আমাদের অধিকাংশ লোকের ভূতপ্ৰেত সম্বন্ধে যে মনোভাব, ঠাকুরদেবতা সম্বন্ধে বড়বাবুর ঠিক সেইরূপ মনোভাব ছিল,-অর্থাৎ তিনি তাদের অস্তিত্বে সম্পূৰ্ণ বিশ্বাস না করলেও, পূরে ভয় করতেন। আপিসের হয়ে মিথ্যা সাক্ষী দিতে হলে তিনি কালীঘাটে আগে পূজো দিয়ে পরে আদালতে আসতেন,- এই উদ্দেশ্যে যে মা কালী তাকে জেরার হাত থেকে রক্ষা করবেন। ব্ৰাহ্মসমাজের ধর্মমত নয়, সামাজিক মতামতের বিরুদ্ধেই তার DBB DBDBBD DBDBDD BDB DDDSS SDBBBDSDSDBBBDS BDBS বিবাহ, বিধবা-বিবাহ-এ-সকল কথা শুনে তিনি কাণে হাত দিতেন। এ সব মত যারা প্রচার করে, তারা যে সমাজের ঘোর শত্ৰু, সে বিষয়ে তাঁর বিন্দুমাত্ৰও সন্দেহ ছিল না! তঁর নিজের পক্ষে কি ভালমন্দ, . তারই হিসেব থেকেই তিনি সমাজের পক্ষে কি ভালমন্দ তাই স্থির করতেন। স্ত্রী-স্বাধীনতা ?--তঁার স্ত্রীকে স্বাধীনতা দিলে কি প্ৰলয় কাণ্ড হবে, সে কথা মনে করতেও তাঁর আতঙ্ক উপস্থিত হত। যিনি নিজের স্ত্রীরত্নকে সামলে রাখবার জন্য ছাদের উপরে ছ-হাত উচু দরমার বেড়ার ঘের দিয়েছিলেন, যাতে করে তঁর বাড়ীর ভিতর পাড়াপাড়শীর