পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বড়বাবুর বড়দিন Σ Σά তারাও সে রাত্তিরে ঐ একই থিয়েটারে যায়, এবং সেখানে বড় বাবুকে দেখতে পায়, তাহলে সে খবর নিশ্চয়ই পটেশ্বরীর কাণে পৌছবে। যদি তা হয়, তাহলে তিনি অমানবদনে সে কথা অস্বীকার করবেন, এইরূপ মনস্থ করলেন ; চিকের আড়াল থেকে দেখলে যে লোক চিনতে ভুল হওয়া সম্ভব-এ সত্য, তার স্ত্রীও অস্বীকার করতে পারবেন না। ( ७ ) সে রাত্তিরে বড়বাবু সকাল সকাল খেয়ে দেয়,--অর্থাৎ একরকম না খেয়েই-গায়ে আলস্টার চড়িয়ে, গলায় কমফটার জড়িায়, মাগা মুখে শাল ঢাকা দিয়ে, সাবিত্রী থিয়েটারের অভিমুখে পদব্রজে রওনা হলেন । পাচে পাড়ার লোক তাকে দেখতে পায়, পাছে তার নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের সুনাম একদিনে নষ্ট হয়, এই ভয়ে তিনি নীলনিচোলাবৃত অভিসারিকার মত ভীতচকিত চিত্তে, অতি সাবধানে অতি সন্তৰ্পণে পথ চলতে লাগলেন। এখানে বলে রাখা আবশ্যক যে, তার আলাস্টারের পর্ণ ছিল ঘোর নীল, আর নিচোল-পদার্থটি শাড়ী নয়-ওভারকোট । অনাবশ্যক রকম শীতবস্ত্রের ভার বহন করাটা অবশ্য তার পক্ষে মোটোত আরামজনক হয়নি ; বিশেষত কমফার্টার নামক গলকম্বলটি, ঠার গলদেশের ভার যে পরিমাণে বৃদ্ধি করেছিল, তার শোভা সে পরিমাণে বৃদ্ধি করেনি। পাঁচ হাত লম্বা উক্ত পশমের গলাবন্ধটি কণ্ঠে ধারণ করা তার পক্ষে একান্ত কষ্টকর হলেও, প্ৰাণ ধরে তিনি সেটি ত্যাগ করতে পারতেন না ; তার কারণ পটেশ্বরী সেটি নিজ হাতে বু7 দিয়েছিল। বড়বাবুর বিশ্বাস ছিল, পাচরঙ উলে-বোন। ঐ বস্তুটির তুল্য সুন্দর বস্তু পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় নেই। কারুকার্সের ওষ্ঠ হচ্ছে চরম ফল। সৌন্দৰ্য, আকাশের ইন্দ্ৰধনুর সঙ্গে শুধু তার তুলনা হতে পারত। স্ত্রীহস্তরচিত এই গলবস্তুটি ধারণ করে তাঁর দেহের যতই অসোয়াস্তি হোক, তাঁর মনের সুখের আর সীমা ছিল না। তিনি মর্মে মর্মে অনুভব করছিলেন যে, পটেশ্বরীর অন্তরের ভালবাসা যেন সাকার श ऊँीन शब्ना उलिश क्षद्भछ । F