পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাম ও শু্যাম শ্ৰীমান চিরকিশোর, কল্যাণীয়েষ্ণু--- আর পাঁচজনের দেখাদেখি আমিও অতঃপর গল্প লিখতে সুরু করেছি, কেননা গল্প না লিখলে আজকাল সাহিত্য-সমাজে কোনরূপ প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায় না। ইতিপূর্বে যে লিখিনি তার কারণ লেখবার এমন কোনও বিষয় দেখতে পাইনি, যা পূৰ্ব-লেখকরা দখল করে না। নিয়েছেন। শেষটা আবিষ্কার করলুম, বাঙলার গল্প-সাহিত্যে আদর্শ পুরুষের সাক্ষাৎ লাভ করা বড়ই দুর্লভ, যা দুর্লভ তাই সুলভ করবার উদ্দেশ্যেই আমার এ গল্প লেখা। আমার হাতের প্রথম গল্পটি তোমাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি, যদি তোমার মতে সেটি উৎরে থাকে, তাহলে পরে ঐ বিষয়ে একটি বড় গল্প লিখব, ক্ৰমে সাহস বেড়ে গেলে অবশেষে এই একই বিষয়ে, চাই কি একটি মহাকাব্যও লিখতে পারি। একটা কথা বলে রাখি, মানুষে যাকে সুন্দর বলে এ গল্পের ভিতর তার নামগন্ধও নেই—যদি কিছু থাকে ত, আছে শিব। আর সত্য ?-গল্পের ভিতর ও-বস্তু সে-ই খোজে, যে ইতিহাস ও উপন্যাসের ভেদ জানে না। তোমার দৃষ্টির জন্য এই সঙ্গে গল্পটির জাবেদা নকল পাঠাচ্ছি। গল্প ଓଁ ସ୍ଵତ୍ତ୍ଵ ଐତ୍ଵ श्७ाद বাঙলা দেশের একটি পাড়াগেয়ে-সহরে দু’কড়ি দত্তের সহধর্মিণী যখন যমজ পুত্র প্রসব করলেন, তখন দত্তজা মহাশয় ঈষৎ মনঃক্ষুন্ন হলেন। এ দুই ছেলে বড় হলে যে কত বড় লোক হবে, সে কথা জানলে তঁর আনন্দের অবশ্য আর সীমা থাকত না । কিন্তু কি করে