পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8¢bሦ 外濒讯° সুলভ কোনরূপ লক্ষণই দেখা যায়নি। তারা শৈশবে কারও ননী চুরি করেনি, বালে কারও মন চুরি করেনি। তাদের বাল্যজীবন ছিল ঠিক সেই ধরণের জীবন, যেমন আর পাঁচ জনের ছেলের হয়ে থাকে। ছেলেও ছিল তারা নেহাৎ মাঝারি গোছের, কিন্তু তা সত্ত্বেও কৈশোরে পদার্পণ করতে না করতে তারা স্কুলের ছেলেদের একদম দলপতি হয়ে উঠল। তাদের আত্মশক্তি যে কোন ক্ষেত্রে জয়যুক্ত হবে, তার পূর্বাভাস। এইখান থেকেই সকলের পাওয়া উচিত ছিল। সকল বিষয়ে মাঝারি হয়েও তারা সকলের মাথা হল কি করে ? এর অবশ্য নানা কারণ আছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে এই যে, তারা ছিল চৌকস। যে সব ছেলেরা পড়ায় ফাস্ট হত—তারা খেলায় লাস্ট হত, আর যে সব ছেলেরা খেলায় ফাস্ট হত-তারা পড়ায় লাস্ট হত। পাছে কোন বিষয়ে লাস্ট হতে হয়, এই ভয়ে তারা কোন বিষয়েই ফাস্ট হয়নি। চৌকস হতে হলে যে মাঝারি হতে হয়, এ জ্ঞান তাদের ছিল; কেননা বয়সের তুলনায় তারা ছিল যেমন সেয়ানা তদধিক হুসিয়ার । কিন্তু সত্য কথা এই যে, তাদের শরীরে এমন একটি গুণ ছিল, যা এদেশে ছোটদের কথা ছেড়ে দেও-বড়দের দেহেও মেলা দুষ্কর ৷ ” তারা ছিল বেজায় কৃতকর্মী ছেলে, ইংরেজি ভাষায় যাকে বলে emergetic । স্কুলের যত ব্যাপারে তারা হত যুগপৎ অগ্রগামী ও অগ্রণী। চাঁদ, সে ফুটবলেরই হােক আর সরস্বতী পূজারই হােক, তাদের তুল্য আর কেউ আদায় করতে পারত না। উকিল মোক্তারদের কথা ত ছেড়েই দাও, জজ ম্যাজিস্ট্রেটদের বাড়ী পর্যন্ত তারা চড়াও করত এবং কখনও শুধু হাতে ফিরত না। তারা ছিল যেমন ছট্‌ফটে তেমনি চাটুপটে। একে ত তাদের মুখে খাই ফুটিত, তার উপর চোখ কোথায় রাঙাতে হবে ও কোথায় নামাতে হবে, তা তারা দিব্যি জানত। স্কুলের ছেলেদের যত রকম ক্লাব ছিল, এক ভাই হত তার সেক্রেটারি। আর এক ভাই হত তার ট্রেজারার। তারপর স্কুলের কর্তৃপক্ষদের কাছে যত প্রকার আবেদন নিবেদন করা হত, রাম-শ্যাম