পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्रांभ & शुiभ ᎩᏈᎣ ছিল সে সবের যুগপৎ কর্তা ও বক্তা। উপরন্তু মাস্টারদের ऊिन्भन्न দিতেও তারা ছিল যেমন ওস্তাদ, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও তারা ছিল তেমনি ওস্তাদ। এক কথায় সাবালক হবার বহু পূর্বে তারা দুজনে হয়ে উঠেছিল, স্কুল-পলিটিক্সের দুটি অ-তৃতীয় নেতা। এই নেতৃত্বের বলে, তারা স্কুলটিকে একেবারে ঝাঁকিয়ে জাগিয়ে চাপিয়ে তুলেছিল। যতদিন তারা দু’ভাই সেখানে ছিল ততদিন স্কুলটির জীবন ছিল, অর্থাৎ আজ নালিশ, কাল সালিশ, পরশু ধর্মঘট এই সব নিয়েই স্কুলের কতৃপক্ষদের ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকতে হয়েছিল। ফলে কত ছেলে বেত খেলে, কত ছেলের নাম কাটা গেল, কিন্তু রামশ্যামের গায়ে যে কখনও আঁচড়টি পর্যন্ত লাগল না, সে তাদের ডিপ্লোমাসির গুণে। ডিপ্লোমাসি যে পলিটিক্সের দেঙ্গ, সে সত্য তারা নিজেই আবিষ্কার করেছিল। তারপর পলিটিক্সের যা প্ৰাণ, অর্থাৎ পেঢ়িয়টিজম, সে বিষয়েও আর কেউ ছিল না যে রাম-শ্যামের ত্ৰিসীমানায় ঘেঁসিতে পারে। স্ব-স্কুল সম্বন্ধে তাদের মমত্ববোধ এত অসাধারণ ছিল যে, আমি যদি জার্মান দার্শনিক হতুমি তাহলে বলতুমি যে সমগ্ৰ স্কুলের “সমবেত আত্ম” তাদের দেহে বিগ্ৰহবান হয়েছিল। প্ৰমাণ স্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে যে, তাদের স্কুলের সঙ্গে অপর কোন স্কুলের ছেলেদের ফুটবল ম্যাচ হলে রাম-শ্যাম তাতে যোগ দিত না বটে-কিন্তু সকলের আগে গিয়ে দাঁড়াত এবং প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সমান বাক্যবর্ষণ করত,-কখনও স্বপক্ষাকে উৎসাহিত করবার জন্য, কখনও বিপক্ষকে লাঞ্ছিত কলবার জন্য। স্বপক্ষ জিতলে তারা ইংরেজিতে ‘ব্রাভো”, “হিপ হিপ হুরুৱে” বলে তারস্বরে চিৎকার করত। আর বিপক্ষদল জিতলে তারা প্রথমেই রেফারিকে জুয়োচোর বলে বসত, তাতে কেউ প্রতিবাদ করলে, রাম*Vir Arf my school, right or wrong 4(7 gift EFİ3 চড়িত যে স্বদলবলের ভিতর সে হুঙ্কারে যাদের স্কুল-পেটিয়টিজম প্ৰকুপিত হয়ে উঠত, তারা বেপরোয় হয়ে বিপক্ষদলের সঙ্গে মারামারি করতে লেগে যেত। মারামারি বাধাবামাত্র রাম-শ্যামের দেহ অবশ্য