পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাম ও শ্যাম >&か○ বুলত খুব মুখস্থ করেছে, আর থার্ড ডিভিসনে পাস করলে বলত ভাল মুখস্থ করতে পারেনি। এই দুষ্ট অপবাদ এড়াবার জন্যই তারা সেকেণ্ড ডিভিসনে স্থান নিয়ে সুবুদ্ধির পরিচয় দিলেন। মুখস্থ অবশ্য তঁরা ঢের করেছিলেন, সে কিন্তু সেই সব বড় বড় ইংরেজী কথা, যা বক্তৃতার আর লেখার কাজে লাগে । ংসারের বিচিত্র কর্মক্ষেত্রের তারা যে কোন ক্ষেত্র দখল করবেন, সে বিষয়ে তারা একদম মনস্থির করে ফেললেন । রাম ঠিক করলেন তিনি হবেন। একজন বড় উকিল, আর শ্যাম ঠিক করলেন তিনি তাবেন একজন বড় এডিটার। এর থেকে তুমি যেন মনে কোরন যে তারা পলিটিক্সের দিকে পিঠা ফেরাবার পন্দোবস্ত করলেন । রাম শ্যাম অতি কঁচা, অতি বো-হিসেবা ছেলে ছিলেন না । তারা বেশ জানতেন যে পেঢ়িয়টজমের সাহায্যে তঁরা ব্যবসায়ে উন্নতিলাভ করবেন, আর একবার ব্যবসায় উন্নতি লাভ করতে পারলে, দেশের লোক ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের পলিটিক্সের নেতা করে দেবে। এইখানে একটি কথা বলে রাখি। আকৃতি প্ৰকৃতিতে রামের সঙ্গে শ্যামের পোেনর আন তিন পাই মিল থাকলেও এক পাই গরমিল ছিল, যে গরমিল একবৃন্তে দুটি ফুলের মধ্যে চিরদিনই থেকে যায়। প্রথমত রামের ছিল মোটার ধাত, আর শ্যামের রোগার ধাত । দ্বিতীয়ত, রামের কণ্ঠস্বর ছিল ভেরীর মত, আর শ্যামের তুরীর মত, জোর অবশ্য দু’য়েরি সমান ছিল, কিন্তু একটা খাদের দিকে, আর একটা জিলের দিকে। কালিদাস বলে গেছেন যে বড়লোকের প্রজ্ঞ তাদের আকারের সদৃশ হয়। এক্ষেত্রেও দেখা গেল যে কবির কথা মিগ্যে নয়। দু'জনের মধ্যে রাম ছিলেন অপেক্ষাকৃত সুস্থ, আর শ্যাম অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত । রাম ছিলেন বেশি দরবারী, আর শ্যাম ছিলেন বেশি ত্যিকরারী। রামের কৃতিত্ব ছিল হিকমতে, শ্যামের হুজুতে। রাম সিদ্ধহস্ত ছিলেন দল পাকাতে, আর শ্যাম দল ভাঙাতে। এক কথায় দলাদলি ছিল রামের পেশা, আর শ্যামের নেশা। রামের ॥nott) ছিল আগে ভেদ তারপরে