পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চার-ইয়ারী-কথা Σ Σ সব যেন একটু হাসছে। মরার মুখে হাসি দেখলে মানুষের মনে যেরকম কৌতুহলমিশ্রিত অতঙ্ক উপস্থিত হয়, সে রাত্তিরের দৃশ্য দেখে আমার মনে ঠিক সেইরকম কৌতুহল ও আতঙ্ক, দুই একসঙ্গে সমান উদয় হয়েছিল। আমার মন চাচ্ছিল যে, হয় ঝড় উঠুক, বৃষ্টি নামুক, বিদ্যুৎ চমকক, বজ পড়ুক, নয়। আরও ঘোর করে আসুক-সব অন্ধকারে ডুবে যাক। কেননা প্রকৃতির এই আড়ষ্ট দম-আটকানো ভােব আমার কাছে মুঠুতে পর মুহুতে অসহ্য হতে অসহািতর হয়ে উঠছিল, অথচ আমি বাইরে থেকে চোখ তুলে নিতে পারছিলুম না। ;-অবাক হয়ে একদৃষ্টি আকাশের দিকে চেয়েছিলুম, কেননা এই মেঘা-চোয়ানো আলোর ভিতর একটি অপরূপ সৌন্দৰ্য ছিল। আমি মুখ ফিরিয়ে দেখি আমার তিনটি বন্ধুই যিনি যেমন দাঁড়িয়েছিলেন তিনি তেমনই দাড়িয়ে আছেন ; সকলের মুখাই গম্ভীর, সকলেই নিস্তব্ধ। আমি এই দুঃস্বপ্ন ভাঙ্গিয়ে দেবার জন্য চীৎকার করে বল্লুম— “Boy, চারঠে আধা peg, লাও ” এই কথা শুন সকলেই যেন ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। সোমনাথ বল্লেন-“আমার জন্য peg নয়, Wer৷o৷t| ” তারপর আমরা যে যার চেয়ার টেনে নিয়ে বসে অন্যমনস্ক ভাপ সিগারেট ধৱালুম। আবার সব চুপ। যখন boy peg নিয়ে এসে হাজির হল, তখন সীতেশ বলে উঠলেন “মেরা ওয়াস্তে আধা নেই —পূৱা।” s আমি হোসে «K-"I beg your pardon, g6 * 12.“ . 27 তরল পদার্থের এ ক্ষেত্রে সম্বন্ধ কত ঘনিষ্ঠ, সে কথাটা ভুলে গিয়েছিলুম।” সীতেশ একটু বিরক্ত স্বরে উত্তর করলেন—“তোমাদের মত আমি বামন-অবতারের বংশধর নাই ।” s -- না, অগস্তামুনির ; একচুমুকে তুমি সুরা সমুদ্র পান করতে পার ” এ কথা শুনে তিনি মহাবিরক্ত হয়ে বললেন—“দেখে রায়, ও সব বাজে রসিকতা এখন ভাল লাগছে না।” আমি কোনও উত্তর করলুম। না, কেননা বুঝলুম যে, কথাটা ঠিক। বাইরের ঐ অ্যালো আমাদের