পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yჯტ8 *ल्लन९.१छ् সাম, আর শ্যামের motto) ছিল আগে ভেদ তারপরে বিগ্রহ ; কেন না। রাম চাইতেন লোকে তঁকে ভক্তি করুক, আর শ্যাম চাইতেন লোকে তঁকে ভয় করুক। তঁদের চরিত্রের প্রভেদটা একটি ব্যাপার থেকেই স্পষ্ট দেখান যায়। আগেই বলেছি যে, স্কুলকলেজে যত প্রকার সভাসমিতি ছিল, এই ভ্ৰাতৃত্যুগল সে সবের সেক্রেটারি ও ট্রেজারারের পদ অধিকার করে বসতেন। কিন্তু রাম বরাবর ট্রেজারারই হতেন, আর শ্যাম সেক্রেটারি। এহেন চরিত্র এহেন বুদ্ধি নিয়ে রাম ও শ্যাম যখন সংসারের রঙ্গমঞ্চে অবতীর্ণ হলেন, তখন সকলেই বুঝল যে, তারা জীবনে একটা বড় খেলা খেলবেন। তৃতীয় অঙ্ক পেঢ়িয়টিজম যিনি মহাপুরুষ-চরিতের চর্চা করেছেন তিনিই জানেন যে, তঁদের জীবনের একটা ভাগ তারা অজ্ঞাতবাসে কাটান; সে সময় তঁরা কোথায় ছিলেন কি করেছেন সে খবর কেউ জানে না । কলেজ ছাড়বার পর রাম-শ্যাম দশ বৎসরের জন্য লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। এ কয় বৎসর তারা যে কোথায় ছিলেন, এবং কি করেছেন, সে খবর কেউ জানে না। তারপর স্বদেশী যুগে তাদের পুনরাবির্ভাব হল। “বন্দে মাতরম’-এর ডাক শুনে তঁদের সুপ্ত মাতৃভক্তি আবার ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল, তারা আর স্থির থাকতে পারলেন না, অমনি অজ্ঞাতবাস ছেড়ে প্রকাশ্য মাতৃসেবায় লেগে গেলেন। যে অগাধ মাতৃভক্তি শৈশবে তাঁদের গর্ভধারিণীর হৃদয়ের উপর ন্যস্ত ছিল, পূর্ণযৌবনে তা তীদের জন্মভূমির পৃষ্ঠে গিয়ে ভর করলে। লোকে ধন্য ধন্য করতে লাগল। বাতাসের স্পর্শে জল যেমন নেচে ওঠে, আগুনের স্পর্শে খড় যেমন জ্বলে ওঠে, রামের রসনা আর শ্যামের লেখনীর স্পর্শে আমাদের হৃদয়