পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» ጝ መ গল্পসংগ্ৰহ রাম শ্যামের কথার সঙ্গে কাজের এই গরমিলাটা ইউরোপে অবশ্য দোষ বলে গণ্য হত—তার কারণ ইউরোপের মোটা বুদ্ধি সত্যের সঙ্গে ব্যবহারিক সত্যের প্রভেদটা ধরতে পারেনি। রাম এ সতা জানতেন যে, সত্য কাজে লাগে। অপর লোকের, আর শ্যাম জানতেন। যে ও-বস্তু কাজে লাগে পরলোকের। নিজের ইহলোকের জীবন সুখে যাপন করতে হলে যে ব্যবহারিক সীতা মেনে চলতে হয়, এ জ্ঞান রাম শ্যাম দু’জনেরই সমান ছিল। °ंश् ऊठश् পলিটিক্স এবার অবশ্য দু’জনে দু’দলের নায়ক হয়েই রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে আবির্ভূত হলেন। রাম হলেন দক্ষিণ মার্গের মহাজন ও শ্যাম পাম মার্গের। এর কারণ শৈশবে রাম ললিত-পালিত হয়েছিলেন মা’র ডান কোলে, আর শ্যাম তীর বা কোলে। দু’দলে যুদ্ধের সূত্রপাত হল সেই দিন, যেদিন তারে খবর এল যে, জার্মানরা চাই কি ভারতবর্ষের উপরেও চড়াও হতে পারে। এই সংবাদ যেই পাওয়া অমনি রাম প্ৰকাশ্য সভায় বীজগম্ভীরস্বরে ঘোষণা করলেন—“আমি যুদ্ধ করব।” দেশের বাতাস অমনি কেঁপে উঠল! শ্যাম তার ঠিক পরের দিনই নিজের কাগজে জ্বলন্ত অক্ষরে লিখলেন, “আমি যুদ্ধ করব না।” দেশের আকাশ অমনি চমকে উঠল। রাম-শ্যামের এই দৃঢ় সংকল্পের সংবাদ শুনে, যুদ্ধের কতৃপক্ষেরা ভীত কিম্বা আশ্বস্ত হয়েছিলেন, অদ্যাবধি তার কোনও পাকা খবর পাওয়া যায়নি ; সম্ভবত আগামী Peace Conference-AG (t প্ৰকাশ পালে। কিন্তু এর প্রত্যক্ষ ফল হল এই যে, স্বদেশ রক্ষা আগে, না স্ব-রাজ্য লাভ আগে, এই নিয়ে দেশময় একটা মহাতৰ্ক বেধে গেল ; এবং সঙ্গে সঙ্গে দেশের লোক দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। যারা রক্ষণশীল