পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাম ও শ্যাম ४, १४) বললেন কবি, আর শ্যামের ঢেলার দার্শনিক। শুরির লাঞ্ছনা দেখে আর কেউ সাহস করে মিটমাট করতে অগ্রসর হল না। দলাদলি থেকেই গেল, শুধু থেকে গেল না, ভয়ঙ্কর বাড়তে লাগল। ঢাকে কাঠিতে যখন মারামারি বাঁধে তখন মানুষের কাণ কি রকম ঝালাপালা হয়, তা ত জানাই। দেশের লোক মনে মনে বললে, এখন থামলে বাঁচি, কিন্তু এই গোল থামা দূরে থাক ভারতবসময় ছড়িয়ে পড়ল, এবং সেও কতকটা রাম-শ্যামের চালের গুণে । এতদিনে রাম-শ্যামের এ জ্ঞান জন্মেছিল যে, বাঙালীতে কোনও বাঙালীকে বড় লোক বলে মানে না, যতক্ষণ না সে মারে। অতএব । পরস্পরের সঙ্গে পলিটিক্সের লড়াই নিরাপদে লড়তে হলে উভয়ের পক্ষেই এই একটি বিদেশী শিখণ্ডী সুমুখে খাড় করা দরকার। কেননা বাঙালীর বিশ্বাস-মানুষের মত মানুষ দেশে নেই, আছে শুধু বিদেশে । রাম তাই মুরুবিব পাকড়ালেন বোম্বাইয়ের চারজি ক্ৰোড়জি কলওয়ালাকে । Rationalist অমনি লিখলে,---কালওয়ালার মত আত বড় মাথা ভারতবর্ষে আর কারও নেই। অপরপক্ষে শ্যাম মুরুবিব পাকড়ালেন মাদ্রাজের কৃষ্ণমূর্তি গৌরীপাদং **z ötbift:ft:(-8 Nationalist , অমনি লিখলে,-“ আইন আচারিয়ারের মত অত বড় বুক ভারতবর্ষে আর কারও নেই।” এর জবাবে Rationalist লিখলে,--“আব্ৰাহ্মণের যে ছায়া মাড়ায় না, সেই হল শ্যামের মতে ডিমোক্রাটের সর্দার।” পাণ্ট জবাবে Nationalist লিখলে—“কােলর কুলির রক্ত চুষে যে জোকের মত মোটা ও লাল হয়েছে, সেই হল রামের মতে ডিমােক্রাটের সর্দার।” বেচারা কলওয়ালা-বেচারা আইন আঢারিয়ার ! দু’জনেই সমান গাল (श्रtड क्लांशल । যে সব বাঙালী দলাদলির বাইরে ছিল, তারা এক্ষেত্রে কিংকৰ্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল ; কেননা বাঙলার নেতাদ্বয় স্বজাতিকে বুঝিয়ে দিলেন যে, বাঙালীর মাথাও নেই, বুক ও নেই, যে কজনের আছে তারা হয়