পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

» ዓbፖ १छ्रं९७१jश्ट्रे লোকে নীল-লোহিতকে কেন মিথ্যাবাদী বলত, জানেন ? তার প্ৰতি গল্পের hero ছিলেন স্বয়ং নীল-লোহিত, আর নীল-লোহিতের জীবনে যত অসংখ্য অপূর্ব ঘটনা ঘটেছিল, তার একটিও লাখের মধ্যে একের জীবনেও একবারও ঘটে না । তীর গল্পারস্তের ইতিহাস এই। যদি কেউ বলত যে, সে বাঘ মেরেছে, তাহলে নীল-লোহিত তৎক্ষণাৎ বলতেন যে তিনি সিংত মেরেছেন এবং সেই সিংহ শিকারের আনুপূর্বিক বর্ণনা করতেন। একদিন কথা হচ্ছিল যে, হাতী ধরা বড় শক্ত কাজ। নীল-লোহিত অমনি বললেন যে, তিনি একবার মহারাজ কিরাতনাথের সঙ্গে গারে। পাহাড়ে খেদা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েই “দায়দার”দের সঙ্গে তিনিও একটি পোষ্যমান কুনকি’র পিঠে চড়ে বসলেন। তঁর দুঃসাহস দেখে মহারাজ কিরাতনাথ হতভম্ব হয়ে গেলেন, কেননা, ‘দায়দার"রা জীবনের ছাড়পত্র লিখে, তবে বুনে-হাতী-ভোলানে ঐ মাদী হাতীর পিঠে আসোয়ার হয়। তারপর ঐ কুনকি জঙ্গলে ঢুকতেই সেখান থেকে বেরিয়ে এল এক প্ৰকাণ্ড দাতলা-মেঘের মত তার রঙ, আর পাহাড়ের মত তার ধড়, আর তার দাঁত দুটো এত বড় যে তার উপর একখানা খাটিয়া বিছিয়ে মানুষ অনায়াসে শুয়ে থাকতে পারে। ঐ দাতলাটা একেবারে মত্ত হয়েছিল, তাই সে জঙ্গলের ভিতর প্রকাণ্ড প্ৰকাণ্ড শালগাছগুলো শুড় দিয়ে জড়িয়ে ধরে উপড়ে ফেলে নিজের চলবার পথ পরিষ্কার করে আসছিল। তারপর কুনর্কিটিকে দেখে সে প্ৰথমে মেঘগর্জন করে উঠল। তারপর সেই হস্তিরমণীর কাণে কাণে ফুসফুস করে কত কি বলতে লাগল। তারপর হস্তিযুগলের ভিতর সুরু হল, “অঙ্গ হেলাহেলি গদগদ ভাষা।” ইতিমধ্যে “দায়দার"রা কুনকির পিঠ থেকে গড়িয়ে পড়ে তার পিছনের পা ধরে বুলছিল, আর নীল-লোহিত তার লেজ ধরে। এ অবস্থায় ‘দায়দার”দের অবশ্য কর্তব্য ছিল যে, মাটিতে নেমে চাটুপটু শোণের দািড় দিয়ে ঐ দাতলাটার পাগুলো বেঁধেছেদ দেওয়া। কিন্তু তারা বললে, “এ হাতী পাগলা হাতী, ওর গায়ে হাত দেওয়া আমাদের সাধ্য নয়,-যদি রশি দিয়ে পা বেঁধেও