পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मेंौल- লোহিত 〉brや নীল-লোহিতের এই রোমান্টিক ডাকাতির গল্প মুখে भू,श् ४ङ প্রচার হয়ে পড়ল যে, শেষটায় পুলিসের কাণে গিয়ে পৌছল। ফলে নাল-লোহিত ডাকাতির চার্জে গ্রেপ্তার হলেন । এ আসামীকে নিয়ে পুলিস পড়ল। মহা-ফাঁপরে, কারণ নীল-লোহিতের মুখের কথা ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতির আর কোনই প্রমাণ ছিল না। পুলিস তদন্ত করে দেখলে যে, যে গ্রামে নীল-লোহিত ডাকাতি করেছেন, উত্তরবঙ্গে সে নামের কোন গ্রামই নেই। যে সা-মঙ্গাজনের বাড়াতে তিনি ডাকাতি করেছেন, উত্তর বঙ্গে সে নামের কোনও সা-মহাজন নেই। যে দিনে তিনি ডাকাতি করছেন,-সে দিন বাঙলা দেশে কোথাও কোন ডাকাতি হয়নি। তারপর এও প্রমাণ হল যে, নীল-লোহিত জীবন কখনও কলকাতা সহরের বাইরে যাননি, এমন কি হাওড়াতেও নয়। বিধবার একমাত্র সন্তান বলে নীল-লোহিতের মা নীল-লোহিতকে গঙ্গা পার হতে দেননি,-পাছে ছেলে ডুবে মরে, এই ভয়। অপর পক্ষে নীললোহিতের বিপক্ষে অনেক সন্দেহের কারণ ছিল। প্রথমত, তার নাম। যার নাম এমন বেয়াড়, তার চরিত্রও নিশ্চয় বেয়াড়। তারপর, লোহিত রক্তের রঙ-অতএব ও-নামের লোকের খুন-জখমের প্রতি টান থাকা সম্ভব। দ্বিতীয়ত, তিনি একে কুলীন ব্রাহ্মণের সন্তান, তার উপর তাঁর ঘরে খাবার আছে ; অথচ তিনি বিয়ে করেননি, যদিঢ় তাঁর বয়স তেইশ। হবে। তৃতীয়ত, তিনি বি. এ পাস করেছেন, অথচ কোনও কাজ করেন না। চতুর্থত, তিনি রাত একটা দুটাের আগে কখনও বাড়ী ফেরেন না,-যদিচ তার চরিত্রে কোনও দোষ নেই। মদ তা দূরে থাক, পুলিশ তদন্তে জানা গেল যে তিনি পান-তামাক পর্যন্ত স্পর্শ করেন। না; আর নিজের মা মাসী চাড়া তিনি জীবনে আর কোনও স্ত্রীলোকের ছায়া মাড়ননি। এ অবস্থায় তিনি নিশ্চয় intermed হতেন, যদি না আমরা পাঁচ জনে গিয়ে বড়সাহেবদের বলে-কয়ে তীকে ছাড়িয়ে আনতুম। আমরা সকলে যখন একবাক্যে সাক্ষী দিলুম। যে নীল-লোহিতের তুল্য মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় নেই, আর সেই সঙ্গে তাঁর গল্পের