পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〉bや労 外邵$领 স্তম্ভিত হয়ে যাই। তারপর ভেবে দেখেছি যে, কথাটা সত্য। আমাদের সকলের দেহ শুধু একই মাটির পৃথিবীতে অবস্থান করে, কিন্তু প্রত্যেকের মন আলাদা আলাদা বিশ্বে বাস করে। আমি বাস করি মৰ্ত্ত্যলোকে, আর নীল-লোহিত বাস করতেন কল্পলোকে । সাদা কথায় আমি বাস করি ব্রিটিশ রাজ্যে, আর নীল-লোহিত বাস করতেন। কল্পনারাজ্যে। সুতরাং আমার মুখে নীল-লোহিতের গল্প শুনে শ্রোতাদের দুধের সাধ ঘোলে মেটাতে হবে। তখন সবে সুরাট কংগ্রেস ভেঙ্গেছে। কলকাতায় আর কোন কথা নেই। পাঁচজন একত্র হলেই-সে। কংগ্রেস কেন ভাঙ্গল, কি করে ভাঙ্গল, যে জুতোটা উড়ে এসে প্রেসিডেণ্টের পায়ে লুটিয়ে পড়ল, সেটা বিলেতি “পম্প” কি পাঞ্জাবী নাগর, মারহাট চটি কি মাদ্রাজী “চাপলি”—এই সব নিয়ে তখন আমাদের মধ্যে ঘোর গবেষণা ও মহা-বাদানুবাদ চলছে । একদিন আমরা সকলে আড্ডায় বসে, উক্ত যুগ-প্রবর্তক জুতোটির জাতি-নির্ণয় করতে ব্যস্ত আছি, এমন সময় নীল-লোহিত হঠাৎ বলে উঠলেন যে, তিনি স্বয়ং সশরীরে সুরাটে উপস্থিত ছিলেন এবং ভিতরকার রহস্য একমাত্র তিনিই জানেন ; দ্বিতীয় ব্যক্তি যে জানে, প্ৰাণ গেলেও সে রহস্য সে ফাস করবে না। এ কথা শুনে এক জন eye-Witnessএর কথা শোনবার জন্য আমরা সকলে ব্যগ্র হয়ে উঠলুম, যদিচ আমরা সবাই জানতুম যে, সে কথার সঙ্গে সত্যের কোনও সম্পর্ক থাকবে না। নীল-লোহিত বললেন—“তােমরা যদি তর্ক থামাও ত গল্প বলি।” অমনি আমবা সবাই মৌনৱত অবলম্বন করলুম। তিনি তঁর সুরাট অভিযানের বর্ণনা সুরু করলেন। তঁর কথার অক্ষরে অক্ষরে পুনরাবৃত্তি করতে হলে গল্প একটা নভেল হয়ে উঠবে। সুতরাং যত সংক্ষেপে পারি, তার মোদা কথা আপনাদের শোনাচ্ছি।--অর্থাৎ মাছ বাদ দিয়ে তার কঁাটাটুকু আপনাদের কাছে ধরে দিচ্ছি।