পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनूठे RRని পড়েছে। কিন্তু যেটির পৃষ্ঠে সোয়ারি হয়ে, নাকে নথ-পরা একটি পানওয়ালী সকাল-সন্ধ্যে পয়সায় পাঁচটি করে খিলি বেচে, সেটিকে আজও সিংহ বলে চেনা যায়। ( R ) এই সিংহ দুটির দুর্দশ থেকেই অনুমান করা যায় যে, পাল বাবুদেরও ভগ্ন দশা উপস্থিত হয়েছে। বাইরে থেকে যা অনুমান করা যায়, বাড়ীর ভিতরে ঢুকলে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়। পাল বাবুদের নাচঘরের জুড়ি নাচঘর কোম্পানীর আমলে কলকাতায় আর একটিও ছিল না। মেজবাবু অর্থাৎ খেলারামের মধ্যম পুত্র, কলকাতার সাৰ ব্ৰাহ্মণ কায়স্থ বড়মানুষদের উপর টেক্কা দিয়ে সে ঘর দিলেতি-দস্তুর সাজিয়েছিলেন। পাশে পাশে টােঙান আর গায়ে গায়ে ঠেকান ঝাড়ে ও দেওয়ালগিরিতে সে ঘর চিক্‌মিক্‌ করিত, চক্‌মক্‌ করত। আর এদের গায়ে যখন আলো পড়ত, তখন সব বালখিল্য ইন্দ্ৰধনু তাদের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে ক্রমে ঘরময় খেলা করে বেড়াত। সে এক বাহার। তারপর সাটিনে ও মখমলে মোড়া কত যে কোচ-কুর্সি সে ঘরে জমায়েত হয়েছিল, তার আর লেখাজোখা নেই। কিন্তু আসলে দেখবার মত জিনিস ছিল সেই নাচঘরের সুমুখের বারান্দ। ইতালি থেকে আমদানী-করা তুষার-ধবল, নবনীতসুকুমার মর্মর প্রস্তরে গঠিত, প্রমাণ সাইজের স্ত্রীমূৰ্তিসকল সেই বারান্দার দুধারে সার বেঁধে দিবারাত্ৰ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকত-প্রতিটি এক একটি বিচিত্র ভঙ্গীতে। তাদের মধ্যে কেউ বা সুন্নান করতে যাচ্ছে, কেউ বা সদ্য নেয়ে উঠেছে, কেউ বা সুমুখের দিকে ঈষৎ বুকে রয়েছে, কেউ বা বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে, কেউ বা দুহাত তুলে মাথার চুল কপালের উপর চূড়ো করে বাঁধছে, কেউ বা বঁ হাতখানি ধনুকাকৃতি করে সামনের দিকে ঝুলিয়ে রেখেছে ;-দেখলে মনে হত, স্বর্গের বেবাক অপসরা শাপভ্রষ্টা হয়ে মেজবাবুর বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। সামান্য লোকদের কথা (रूद्ध हिन, डूलभश भश श्रसिअक्त७ ईठ । ऊन अभ१-१ल