পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5-छेदौ-५|| S মিরাণ্ডা কি ডেসডিমন, বিয়াটস কি টেন্সার দেখা পাব,--এবং তার স্পর্শে আমি বেঁচে উঠব, জেগে উঠব, অমর হব। আমি কল্পনার চক্ষে স্পষ্ট দেখতে পেলুম যে, আমার সেই চিরকাঙিক্ষত cternal feminime সশরীরে দূরে দাঁড়িয়ে আমার জন্য প্রতীক্ষা করছে। ঘুমের ঘোরে মানুষ যেমন সোজা একদিকে চলে যায়, আমি তেমনি ভাবে চলতে চলতে যখন লাল রাস্তার পাশে এসে পড়লুম, তখন দেখি দূরে যেন একটি ছায়া পায়চারি করছে। আমি সেইদিকে এগোতে লাগলুম। ক্ৰমে সেই ছায়া শরীরী হয়ে উঠতে লাগল; সে যে মানুষ, সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ রইল না। যখন অনেকটা কাছে এসে পড়েছি, তখন সে পথের ধারে একটি বেঞ্চিতে বসল। আরও কাছে এসে দেখি, বেঞ্চিতে যে বসে আছে সে একটি ইংরাজ-রমণী-পূর্ণযৌবন -অপূর্বসুন্দরী ! এমন রূপ মানুসের হয় না। ;-সে যেন মূর্তিমতী পূর্ণিমা ! আমি তার সমুখে থমকে দাঁড়িয়ে, নির্নিমেযে তার দিকে চেয়ে রইলুম। দেখি সেও একদৃষ্টি আমার দিকে চেয়ে রয়েছে। যখন তার চোখের উপর আমার চোখ পড়ল, তখন দেখি তার চোখদুটি আলোয় জ্বলজ্বল করছে ; মানুষের চােখে এমন জ্যোতি আমি জীবনে আর কখনও দেখি নি ! সে আলো তারার নয়, চন্দ্রের নয়,” সূর্যের নয়,-বিদ্যুতের। সে আলো জ্যোৎস্নাকে আরও উজ্জ্বল করে তুললে, চন্দ্ৰলোকের বুকের ভিতর যেন তাড়িত সঞ্চারিত হল। বিশ্বের সূক্ষ্যশরীর সেদিন একমুহূর্তের জন্য আমার কাছে প্রত্যক্ষ হয়েছিল। এ জড়জগৎ সেই মুহূর্তে প্ৰাণময়, মনোময় হয়ে উঠেছিল। আমি সেনি ঈথারের স্পন্দন চর্মচক্ষে দেখেছি ; আর দিবাচক্ষে দেখতে পেয়েছি যে, আমার আত্মা ঈথারের এক সুরে, একতানে স্পন্দিত হচ্ছে । এ সবই সেই রাত্তিরের সেই আলোর মায়া। এই মায়ার প্রভাবে শুধু বহির্জগতের নয়,-আমার অন্তর-জগতেরও সম্পূর্ণ রূপান্তর ঘটেছিল। আমার দেহ-মন মিলেমিশে এক হয়ে একটি মূৰ্তিমতী বাসনার আকার ধারণ করেছিল, এবং সে হচ্ছে ভালবাসবার ও ভালবাসা পাবার বাসনা। আমার মন্ত্রমুগ্ধ মনে জ্ঞান, বুদ্ধি, এমন কি চৈতন্য পর্যন্ত লোপ পেয়েছিল। V) 2. AAN. THE J'AI: ***** .: تن دی. را به م۱ ٬