পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अनूठे S S°ላ তার চেহারা ছিল তার প্রতিকূল। তিনি ছিলেন একে মাথায় ছোট, তার উপর পাতলা, তার উপর ফর্শ, তারপর তঁর মুখটি ছিল স্ত্রীজাতির মুখমণ্ডলের ন্যায় কেশহীন—অবশ্য হাল-ফেসান অনুযায়ী দুসন্ধা! স্বহস্তে ক্ষেীর-কার্যের প্রসাদে। ফলে, হঠাৎ দেখতে তাঁকে আঠার বৎসরের ছোকরা বলে ভুল হত। রাশভারি হওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব জেনে তিনি স্থির করলেন যে, তিনি গম্ভীর হবেন। মধুর অভাবে গুড়ে যেমন দেবাৰ্চনার কাজ চলে যায়, তিনি ভাবলেন, রাশভারি হতে না পেরে গম্ভীর হতে পারলেই জমিদারী শাসনের কাজ তেমনি সুচারুরূপে সম্পন্ন হবে । 1. তারপর এও তিনি জানতেন যে, মানুষের উপর কড়া হওয়া তার ধাতে ছিল না। এমন কি, মেয়েমানুষের উপরও তিনি কড়া ততে পারতেন না। তাই তিনি আপিসে নানারকম কড়া নিয়মের প্রচলন করলেন, এই বিশ্বাসে যে, নিয়ম কড়া হলেই কাজেরও কড়াক্কড় হবে। তিনি আপিসে ঢুকেই হুকুম দিলেন যে, আমলাদের সব ঠিক এগারটায় আপিসে উপস্থিত হতে হবে, নইলে তাদের মাইনে কাটা যাবে। এ নিয়মের বিরুদ্ধে প্ৰথমে সেরেস্তায় একটু আমলাতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছিল, কিন্তু চাটুয্যে-সাহেব তাতে এক চুলও টললেন না, আন্দােলনও থেমে গেল । ( ( ) পাল সেরেস্তার আমলাদের চিরকেলে অভ্যাস ছিল, বেলা বারোটা সাড়ে-বারোটার সময় পান চিৰতে চিবতে আপসে আসা, তারপর এক ছিলিম গুড়ুক টেনে কাজে বসা। মুনিব যেখানে বিধবা। আর নাবালক —সেখানে কর্মচারীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে অভ্যস্ত হয়। किशु তারা যখন দেখলে যে, ঘড়ির কঁটার উপর হাজির হলেই হুজুর খুসি থাকেন, তখন তারা একটু কষ্টকর হলেও বেলা এগারটাতে হাজিরা সই করতে সুরু করে দিলে। অভ্যোস বদলাতে আর কদিন লাগে ?