পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R\నీa 外哥尔国领 দেওয়াই স্থির করলেন। এই মনস্থ করে তিনি তার কৈফিয়ৎ চাইলেন, তারপর তার জবাবদিহি শুনে অবাক হয়ে গেলেন। প্রাণবন্ধু তার সুমুখে দাঁড়িয়ে অমানবদনে বললে—“হুজুর, আটটার আগে ঘুমষ্ট ভাঙে না। তারপর চা আর তামাক খেতেই ঘণ্টাখানেক কেটে যায়। তারপর নাওয়া-খাওয়া করে এক ক্রোশ পথ পায়ে হেঁটে কি আর এগারটার মধ্যে আপিসে পৌছান যায় ?” এ জবাব শুনে হুজুর যে অবাক হয়ে রইলেন, তার কারণ র্তার নিজেরও অভ্যোস ছিল ঐ সাড়ে আটটায় ঘুম থেকে ওঠা। তারপর চা-চুরুট খেতে তারও সাড়ে নয়টা বেজে যেত। সুতরাং পায়ে হেঁটে । আপিসে আসতে হলে তিনি যে সেখানে এগারটার ভিতর পৌছতে পারতেন না, এ কথা তিনি মুখে স্বীকার না করলেও মনে মনে অস্বীকার করতে পারলেন না। সেই অবধি প্রাণবন্ধুর দেরি করে আপিসে আসাটা চাটুয্যে সাহেব আর দেখেও দেখতেন না। ম্যানেজারের উপর প্রাণবন্ধুর ७4शैं शब्लो (2|शंभ किङ । দুদিন না যেতেই চাটুয্যে সাহেব আবিষ্কার করলেন যে, প্রাণবন্ধুকে ডেকে কখনও তন্মুহূর্তে পাওয়া যায় না। যখনই ডাকেন, তখনই শোনেন যে প্ৰাণবন্ধু তামাক সাজছে। শেষটায় বিরক্ত হয়ে একদিন তাকে ধমক দেবামাত্র প্রাণবন্ধু কাতরস্বরে বললে—“হুজুর, আমি গরীব মানুষ, তাই আমাকে তামাক খেতে হয়, আর তা নিজেই সেজে খেতে হয়। পয়সা থাকলে সিগারেট খেতুম, তাহলে আমাকে কাজ থেকে এক মুহূর্তের জন্যও উঠতে হত না। বী হাতে অষ্ট প্রহর সিগারেট ধরে ডান হাতে কলম চালাতুম।” এবারও হুজুরকে চুপ করে থাকতে হল ; কেননা, হুজুর নিজে অষ্টপ্রহর সিগারেট ফুকতেন, তার আর এক দণ্ডও কামাই ছিল না। তিনি মনে ভাবলেন, প্ৰাণবন্ধু যা-খুসি তাই করুক গে, তাকে আর তিনি ঘাটাবেন না । কিন্তু প্ৰাণবন্ধুকে আবার তিনি ঘটাতে বাধ্য হলেন। একখানি জরুরি দলিল, যা এক দিনেই লিখে শেষ করা উচিত ছিল, সেখানা