পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RW& 外即R率 রোষে ক্ষোভে হুজুরের বাকুরোধ হয়ে গেল। তিনি তাকে তর্জনী দিয়ে দরজা দেখিয়ে দিলেন, প্ৰাণবন্ধু বিনা বাক্যব্যয়ে স্বস্থানে প্রস্থান করল-আর এক চিলিম ভাল করে তামাক সাজতে। প্ৰাণবন্ধুর কিন্তু হুজুরকে অপমান করবার কোনই অভিপ্ৰায় ছিল না। সে শুধু নিজে সাফাই হবার জন্য ও-সব কথা বলেছিল। হিসেব করে কথা কওয়ার অভ্যাস তার কস্মিনকালেও ছিল না, আর পয়তাল্লিশ বৎসর বয়সে একটা নূতন ভাষা শেখা মানুষের পক্ষে অসম্ভব! (4) চাটুয্যে সাহেব দেওয়ানজীকে ডেকে বললেন—“প্রাণবন্ধুকে দিয়ে আর চলবে না, তার জায়গায় নূতন লোক বাহাল করা হোক।” নূতন লোক খুঁজে বার করবার জন্যে দেওয়ানজী সাত দিনের সময় নিলেন। এর ভিতর তীর একটু গুঢ় মৎলব ছিল। তিনি জানতেন, প্রাণবন্ধুর দ্বারা কস্মিনকালেও কাজ চলেনি, অতএব যে চাকরি তার এতদিন বজায় ছিল, আজ তা যাবার এমন কোনাে নূতন কারণ ঘটেনি। তা ছাড়া তিনি জানতেন যে হুজুরের রাগ হগু না পেরুতেই চলে যাবে আর প্রাণবন্ধু সেরেস্তার যে কাজ চিরকাল করে এসেছে, ভবিষ্যতেও তাই করবেঅর্থাৎ তামাক সাজা। ফলে প্ৰায় হয়েছিলও তাই। যেমন দিন যেতে লাগল, তঁর রাগও পড়ে আসতে লাগল, তারপর সপ্তম দিনের সকালবেলা চাটুয্যে সাহেব রাগের কণাটুকুও মনের কোনো কোণে খুঁজে পেলেন না। তিনি তাই ঠিক করলেন যে, এবারকার জন্য প্রাণবন্ধুকে মাপ করবেন। তার পর তিনি যখন ধড়-চুড়ে পরে আপিস যাবার জন্য প্ৰস্তুত হয়েছেন, তখন তঁর স্ত্রী তার হাতে একখানি চিঠি দিয়ে বললেন, “দেখ ত, এ চিঠির অর্থ আমি কিছুই বুঝতে পারছিনে।” সে চিঠি હરે- 号 “প্রিয়ে প্রিয়তরে প্রিয়তমে, আজ তোমাকে বড় চিঠি লিখতে পারব না, কেননা আর একখানি মস্ত চিঠি লিখতে হয়েছে। জানই তা আমাদের ছোকরা হুজুর আমাকে